আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের তারকাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ সবসময় তুঙ্গে থাকে। আর বলিউডের বড় বড় তারকাদের কাছে যিনি তারকার চেয়েও বেশি তিনি রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানি। এক যুগ ধরে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। এই ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ পাঁচ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
তাদের দেখলে আমরা ভাবি এরা সবচেয়ে সুখী কিন্তু একটা সময় গেছে এই মানুষগুলোও মানসিক অশান্তিতে কাটিয়েছেন। 1985 সালে মুকেশ আম্বানির সাথে বিয়ে হয় নীতি আম্বানির। বিয়ের ঠিক এক বছর পর এক চিকিৎসক মুকেশ ও নীতাকে এক দুঃখের খবর জানান যে নীতার মা হওয়া অসম্ভব।
আর তখন তাদের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় আর এরপর থেকে নীতার জীবনের শুরু হয় সবচেয়ে কঠিন সময়। অনেক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার পর তারা স্থির করেন আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার।
ঘটনাটি 1986 সালে সে সময় বর্তমান যুগের মত আইভিএফ এতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি মানুষের কাছে। এরপর শুরু হয় কড়া ওষুধ ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা। অনেক চেষ্টার পর বিয়ের প্রায় সাত বছর পর প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হন নিতা আম্বানি। আর যেদিন এই খবরটা তারা জানতে পেরেছিলেন সেটাই বোধহয় তাদের জীবনের সেরা মুহূর্ত হয়ে থেকে যাবে চিরকাল।
সুখটা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল যখন শুনেছিলেন তার গর্ভে যমজ সন্তান বড় হচ্ছিল। ১৯৯১ সালে ঈশা ও আকাশের জন্ম দেন নীতা। এরপর 1995 সালে আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি জন্ম দেন তিনি। যদিও এই সন্তান অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই জন্ম দিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।