জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাকে হত্যার ৭ ঘন্টা পর ছেলে রাজিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মধ্য শালিকা গ্রামে নেশার টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ছেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত রাজিব ওই গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন খায়রুলের ছেলে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে রাজিবকে ভালো করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে কষ্ট হলেও নিরাময় কেন্দ্রে রাজিবকে ভর্তি করা হয়। ভবঘুরে বাবা সংসার, স্ত্রী, ছেলে কারো খোঁজ নেন না। মা রাজিয়া অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। নিরাময় কেন্দ্র থেকে সম্প্রতি চিকিৎসা নিয়ে রাজিব বাড়িতে এসেছে। শুক্রবার রাতে নেশার টাকা না পাওয়ায় হঠাৎ মায়ের উপর চড়াও হয় রাজিব।
এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে মা রাজিয়াকে। এসময় রাজীবের স্ত্রী শোভা খাতুন (২৫) বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপায়। এ ঘটনায় শোভা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পাশে আনারস বাগানে নিয়ে পুঁতে রাখার চেষ্টাকালে এলাকাবাসী জানতে পারে এই নৃশংসতার কথা। পরে তারা এগিয়ে এলে রাজিব সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাজীব মিয়া একজন নিয়মিত মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই সে তার মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। শুক্রবার সন্ধ্যায় নেশার টাকার জন্য মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। নেশার টাকা না দেওয়ার কারণে ইফতারের পরে রাত সাড়ে সাতটায় মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় মাদকাসক্ত রাজিবের স্ত্রী শোভা খাতুন (২৫) শাশুড়িকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে এবং হাতের ৩টা আঙুল কেটে ফেলে।
আশপাশের লোকজন এসে স্ত্রী শোভা খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। জানা গেছে, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবীর জানান, ঘটনার সাত ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি অভিযানে রাত তিনটার দিকে মহিষমারার ঘোনাপাড়া থেকে ঘাতক রাজিবকে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।