লাইফস্টাইল ডেস্ক : মাছি ব্যাকটিরিয়া এবং নানা ক্ষতিকর জীবাণুর বাহক। কারণ ময়লা, আবর্জনা, নর্দমা, মল-মূত্র ইত্যাদি বিভিন্ন নোংরা জায়গায় তার বসবাস। অথচ এই মাছি উড়ে এসে বসে খাবারের উপরে। আর তাতে সংক্রমিত হতে পারে সবাই। তাছাড়া মাছির ভো ভো শব্দ, আর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন? কোন ভাবেই তাড়াতে পারছেন না মাছি?
https://inews.zoombangla.com/padma-bridge-dia/
চলুন দেখে নেওয়া যাক বাড়ি থেকে কীভাবে দূর করা যায় মাছি-
ফল, শাক, সবজি ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন। অনেক সময় পচনশীল ফলের সঙ্গে লেগে অন্য ফলের উপরিভাগ চ্যাটচ্যাটে হয়ে পড়ে। এমন কিছু চোখে পড়লে সেই ফল ও সবজিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বাড়িতে বেশি পাকা ফল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন, সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না-রেখে তা ফেলে দিন। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।
বাড়ির বাইরে নোংরা আবর্জনা থাকলে তা ঢেকে রাখুন। ঘন ঘন আবর্জনা সরিয়ে ফেললে মাছির উপদ্রব কমবে। কারণ, মাছি আবর্জনার স্তূপেই ডিম পাড়ে। তাই আবর্জনা জমতে না-দেওয়াই ভালো। আবার বাড়িতে আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন থাকলেও, সেটিও ঢাকনা দিয়ে রাখবেন।
প্রতিদিন ভালোভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। ফ্রিজের নীচে বা আশপাশে ভালো করে পরিষ্কার করুন, যাতে এখানে কোনও ভাবে খাবার পড়ে না থাকে বা পাকা ফলের রস লেগে মাছিদের আকৃষ্ট করতে না পারে। রান্নাঘরে গ্যাস ওভেনের উপরেও খাবার লেগে থাকে, সেগুলো ভালো পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া বাসন মাজার ভেজা স্ক্রাবার, ঘর মোছার কাপড়, রান্নাঘর থেকে দূরে রাখুন।
আরও যে কৌশল বেশি জানা দরকার – একটি গ্লাসে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন। এরপর গ্লাসের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। তারপর একটি টুথপিক দিয়ে সেলোফেন পেপারের মাঝেখানে ছিদ্র করুন। মাছি ভেতরে যেতে পারে, তেমন বড় ছিদ্র করুন। লক্ষ্য রাখবেন, ফুটো এমন হবে, যার মধ্য দিয়ে মাছি ঢুকবে কিন্তু বেরোতে পারবে না। ভিনিগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভিতরে ঢুকে আটকে যাবে মাছি। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা থাকে, সেখানে এটি রাখুন।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.