লাইফস্টাইল ডেস্ক : আসআদ ইবনে জুরারাহ (রা.) নবুয়তের একাদশ বছর (প্রথম বায়াতের এক বছর আগে) মিনার আকাবায় খাজরাজের কয়েকজন মানুষকে নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। (উসদুল গাবাহ : ১/৮৬)
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি পরবর্তী দুই বছরে মিনার আকাবায় অনুষ্ঠিত প্রথম ও দ্বিতীয় বায়াতে শরিক থাকেন। দ্বিতীয় (শেষ) বায়াতে সর্বপ্রথম তিনিই রাসুল (সা.)-এর হাতে হাত রাখেন। ওই বায়াতে রাসুল (সা.) তাকে তার গোত্র বনু নাজ্জারের নাকিব (জিম্মাদার) নিযুক্ত করেন।
তার পাশাপাশি অন্যান্য গোত্রের ১২ নাকিবের প্রধান (নাকিবুন নুকাবা)ও ঘোষণা করেন। তার ইন্তেকালের পর রাসুল (সা.) বনু নাজ্জার গোত্রের লোকজন নতুন নাকিব চাইলে রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, আমিই তোমাদের নাকিব। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৮৬)
প্রথম বায়াতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মদিনায় প্রেরিত রাসুল (সা.)-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও দাঈ মুসআব ইবনে উমাইর (রা.) তারই মেহমান হন এবং তার সার্বিক সহযোগিতায় তিনি মদিনার ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেন। এভাবে আসআদ ইবনে জুরারাহ (রা.) মদিনার অসংখ্য মানুষের ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম হন।
সে জন্য তাকে সইতে হয়েছে অনেক কষ্ট, করতে হয়েছে অনেক সাধনা। তার অসিলায় বনু আবদুল আশহালের প্রভাবশালী দুই নেতা উসাইদ ইবনে হুজাইর (রা.) ও সাআদ ইবনে মুআজ (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন।
মদিনায় সর্বপ্রথম জুমার নামাজ প্রতিষ্ঠা করেন আসআদ ইবনে জুরারাহ (রা.) মুসআব (রা.) মদিনায় নামাজের ইমামতি করতেন। সর্বপ্রথম জুমার নামাজ কায়েম করেন তিনি।
মুহাম্মদ ইবনে কাব (রহ.) বলেন, আমার পিতা কাব ইবনে মালিক (রা.) অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমিই তাকে নিয়ে চলতাম। তিনি জুমার আজান শুনলে আসআদ ইবনে জুরারাহর জন্য দোয়া করতেন। একদিন আমি তার কাছে এই দোয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিই হাজমুন নাবিত নামক স্থানে আমাদের জন্য সর্বপ্রথম জুমার নামাজ কায়েম করেন। এরপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, তখন আপনারা কতজন ছিলেন? বলেন, ৪০ জন। (আবু দাউদ : ১/১৫৩)
অন্য এক বর্ণনা মতে, মদিনায় সর্বপ্রথম জুমার নামাজ কায়েম করেন রাসুল (সা.)-এর বিশেষ প্রতিনিধি মুসআব ইবনে উমাইর (রা.)।
মেঘনা সেতুতে মোটরসাইকেলে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত
আসআদ হিজরতের প্রথম বর্ষের শাওয়াল মাসে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তখন মসজিদে নববীর কাজ চলছিল। কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি। মদিনার জান্নাতুল বাকি গোরস্তানে তাকে সমাহিত করা হয়। রাসুল (সা.) তার জানাজা পড়ান। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, তার জানাজাই ছিল ইসলামী ইতিহাসে সর্বপ্রথম জানাজা। (উসদুল গাবাহ : ১/৮৭)
আল্লামা ওয়াকিদি (রহ.) বলেন, আনসারদের মতে জান্নাতুল বাকিতে সর্বপ্রথম কবর রচনা হয় আসআদ ইবনে জুরারাহ (রা.)-এর। আর মুহাজিরদের মতে ওসমান ইবনে মাজউন (রা.)-এর। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ৩/১৮৭; আল-ইসাবাহ : ১/২০৯)
আহমাদ রাইদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।