জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আপন চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাঈমের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের ফলে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে ১৫ বছরের নাবালিকা মাদ্রাসাছাত্রী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের মো. নাঈম (২৩), তার পিতা মো. সেলিম হাওলাদার, মা মোসা. হাওয়া বেগম, ভগিনীপতি মো. তুহিন ও বোন মোসা. সাথী বেগম। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
আসামির আপন চাচি অভিযোগ করেন- তার স্বামী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তাকে চিকিৎসার জন্য এ বছর ২৭ জানুয়ারি সকালে পটুয়াখালী হাসপাতালে যান। ওই সময় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসাছাত্রী ঘরে একাই থাকে। আসামি নাঈম মাদ্রাসাছাত্রীকে একা পেয়ে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে নাঈম। এরপর আসামি নাঈম মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাড়িয়ে দিবে- এমন ভয় দেখিয়ে একাধিকবার চাচাতো বোনকে ধর্ষণ করে নাঈম। নাঈম ভিকটিমকে বিয়ে করার প্রলোভনও দেখায়।
সর্বশেষ ৩ মার্চ সকালে ভিকটিমের মা পাশের জলিলের বাড়ি যান। এই ফাঁকে নাঈম বাদীর ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে পূর্বের মতো ধর্ষণ করে। বাদী তার ঘরে এলে আসামি নাঈম টের পেয়ে দ্রুত ঘর থেকে বাদীর সামনে দিয়েই পালিয়ে যায়। বাদী তার মেয়ের কাছে জানতে চাইলে মেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
বাদীর মা বলেন, আমাদের দরিদ্রতার সুযোগে নাঈম আমার ভাসুরের ছেলে হয়ে প্রথমে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে আমার ছোট মেয়েকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার আমাদের অনুপস্থিতিতে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে এখন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। স্বামী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। অভাবের সংসার। মেয়ের পড়াশোনা এখন বন্ধ। আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না। গ্রামের লোকজন আমাদের ভালো চোখে দেখে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।