জুমবাংলা ডেস্ক : নৌপথে পালানোর সময় মঙ্গলবার রাতে কোস্টগার্ডের হাতে গ্রেফতার হন শেখ হাসিনা সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর পুলিশের মাধ্যমে একই দিন রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয় তাদেরকে। সেখানে রাতভর তাদের সঙ্গে ঘটে নানান কাহিনি।
জানা গেছে, রাতভর ডিবি অফিসের হাজতখানায় ছিলেন সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক। ছিল না কোনো বিশেষ ব্যবস্থা। আসামিদের জন্য নির্ধারিত স্বাভাবিক খাবার খেতে দেওয়া হয় তাদের।
এছাড়া, ভিআইপি আসামির ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিশেষ ব্যবস্থা রাখে গোয়েন্দা পুলিশ। কখনও কখনও পরিবার থেকে পাঠানো খাবার খেতে দেওয়া হয়। বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। কিন্তু সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। অন্য আসামিদের মতো হাজতের মেঝেতেই ঘুমাতে হয় তাদেরকে।
এদিকে হেভিওয়েট আসামি গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার রাতে ডিবি অফিসের মধ্যে ছিল রুদ্ধশ্বাস অবস্থা। আসামিকে কখন-কোথায় আনা হচ্ছে, কী করা হচ্ছে অধিকাংশ কর্মকর্তাই তা জানতে পারেননি। হাতেগোনা দু-একজন কর্মকর্তা মামলা ও আইনী প্রক্রিয়া দেখভাল করছেন।
ডিবির কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ডিএমপি কমিশনারসহ দু-একজন কর্মকর্তা ডিবি অফিসে আসেন। তবে প্রথাগত কোনো জিজ্ঞাসাবাদ হয়নি। দুপুরে আদালতে নিয়ে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের গ্রেফতারের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
হাওড়া ব্রিজ কেন রাত ১২টার সময় বন্ধ রাখা হয়? জানলে চমকে উঠবেন
ডিবি সূত্র বলছে, বুধবার দুপুরে তাদের সিএমএম কোর্টে তোলা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং নির্বিচার গুলি চালানোর ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে তাদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।