জুমবাংলা ডেস্ক: ফেনীর পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৬৯ সালে এক একর ১৬ শতাংশ জমি যার মূল্য বর্তমানে ২০ কোটি টাকা, রেজিস্ট্রি করে দান করেছিলেন আবুল খায়ের খোন্দকার। তিনি আজ বেঁচে নেই। মাদরাসার মূল ভবনের গেটেও বহু বছর ধরে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার নাম। কিন্তু কিছুকাল আগে দালিলিক কাগজপত্র থেকে প্রতিষ্ঠাতার নামটি হাওয়া করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবুল খায়ের খোন্দকারের ছেলে স্তম্ভিত আবদুল মোতালেব খোন্দকার বলেন, ‘২০ কোটি টাকার সম্পত্তি দান করাটা কি আমার বাবার অপরাধ?’ মোতালেব তার মরহুম বাবার নাম নিয়ে যারা জঘন্য কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ২৪ মার্চ ওই মাদরাসার সভাপতির (ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সার্বিক) কাছে আবেদন করেছেন। পরশুরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের খোন্দকারের জীবদ্দশায় বিএনপি-জামায়াতের আমলে এলাকার প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসককে প্রভাবিত করে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাকে বাদ দিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করিয়ে এডহক কমিটি গঠন করেন।
এতে সংক্ষুব্ধ আবুল খায়ের তখন জেলা প্রশাসকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন (নং-১২/০৪)। ২০০৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালত আবুল খায়ের খন্দকারের পক্ষে রায় দেয়। রায়ের পর জেলা প্রশাসক মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফাকে মাদরাসাবিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য হাজির করতে লিখিত নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ তখন ১৫টি ডুকুমেন্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক আবুল খায়ের খোন্দকারকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কমিটির সহসভাপতি মনোনীত করেন।
মোতালেব জানান, মাদরাসার সবকিছুতেই তার বাবার নাম থাকার পরও স্বার্থান্বেষী একটি মহল তিন-চার বছর আগে গোপনে ডকুমেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার বাবার নাম মুছে ফেলে অন্য ব্যক্তির নাম বসিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, মাদরাসার জমিদাতা মরহুম আবুল খায়ের খোন্দকার এটা সঠিক। মাদরাসার একটি ভবনে এখনো তার নাম শোভা পাচ্ছে।
অধ্যক্ষ মজুমদার বলেন, তবে তার আগে যারা অধ্যক্ষ ছিলেন তাদের সময় নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে নাম ঠিকও করা হয়েছে। এখন কোনো চক্রান্ত হচ্ছে কি না জানি না। ফেনীর এডিসি (সার্বিক) মাসুদুর রহমান বলেন, আমি মাদরাসাটির সভাপতি। আমিতো জানি না প্রতিষ্ঠাতার নাম বদলে ফেলা হয়েছে। কেউ চাইলেই নাম বদলাতে পারে না। এটা আদালতের ব্যাপার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।