জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে শিশুটির সব ছবি পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার ১৪ বছরের বোনকে দেখভালের জন্য সমাজসেবা অফিসার নিয়োগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন, ব্যারিস্টার মিথুন রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। পরে আদালতের নির্দেশে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন।
এদিকে, গতকাল শনিবার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার তিন দিন পর শনিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) এর ক/ ৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ করা হয়। শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
Xiaomi 14 Ultra নাকি Samsung Galaxy S24, কোনটি সেরা স্মার্টফোন
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শিশুটির বোনের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি শিশুর বোনের শাশুড়ি ও ভাসুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।