অভিনেত্রী সোনি রাজদান। ১৯৮১ সালে ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে সাফল্য পান ১৯৮৪ সালের ‘সারাংশ’ সিনেমায় অভিনয় দিয়ে। এই সিনেমার সেটেই পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাটের সঙ্গে পরিচয়, এরপর বিয়ে। কিন্তু মহেশকে বিয়ে করার পর কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় সোনি রাজদানের। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সোনি রাজদান।
তিনি জানান, বিয়ের পর বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে তাকে নিয়ে মন্তব্য করতো। তবুও কাজের মধ্যে থাকার চেষ্টা করছেন। একটি মন্তব্য তাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল। সেইসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ না পেয়ে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি।
সোনি বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল- এখন তো উনি অমুকের স্ত্রী। আমার আর কাজ করার দরকার কী? এটা শুনে আমি খুব কষ্ট পেতাম। প্রচণ্ড রেগেও গিয়েছিলাম।
সৌভাগ্যক্রমে টেলিভিশন সিরিয়াল ‘বুনিয়াদ’-এ কাজ করলাম। সেটা দারুন চললো। তারপরই আবার ভালো কিছু ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেলাম। কিন্তু তার আগে কাজ না পেয়ে প্রচুর হতাশায় ছিলাম।”
সোনি রাজদান ১৯৮৬ সালে ‘সারাংশ’ সিনেমার সেটে পরিচয়ের সূত্রে পরিচালক মহেশ ভাটকে বিয়ে করেন। তাদের দুই কন্যা-শাহিন ভাট (১৯৮৮) এবং আলিয়া ভাট (১৯৯৩)। তবে এত সাফল্য অর্জনের পরও সোনির মনে এক আক্ষেপ রয়েছে।
বর্ষীয়াণ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার জীবনের সব সময়, এমনকি এখনও আমি অন্য কারও পরিচয়ে পরিচিত। হয় আলিয়ার মা, নয়তো মহেশ ভাটের স্ত্রী। আমার সংগ্রাম এখনও একই।
আমি যেন আমার নিজের পরিচয়ে স্বীকৃতি পাই। আমার আশপাশের মানুষরা খুব ভাল কাজ করছে। এতে আমি খুশি এবং কৃতজ্ঞ। কিন্তু হয়তো আমার যাত্রাপথ এমনই হওয়ার কথা ছিল। এখন আমি এটা নিয়ে হাসি, মজা পাই, আর ভেবে নিই, ঠিক আছে, এভাবেই চলুক।’
সম্প্রতি সোনি রাজদানকে দেখা গেছে ‘সং অফ প্যারাডাইস’ ওয়েব সিরিজে, যা গত ২৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।