বিনোদন ডেস্ক : ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ৫ ঘন্টা কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কারাগার থেকে বেরিয়ে মাহি বলেন, ‘কীভাবে আমার অনুভূতি প্রকাশ করব বুঝতেছি না। আমি আবেগে আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই আমার।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমায় অনেক শুটিং করেছি। আমি দেখেছি, কারাগারে মানুষ অনেক কষ্টে থাকে। কিন্তু আমি কারাগারের ভেতরে অনেক শান্তিতে ছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘বিমান থেকে নামার পর ইমিগ্রেশনের পুলিশ আমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেননি। পুরো এয়ারপোর্ট ফাঁকা হয়ে গেছে। আমার মামা কথা বলতে এসেছিলেন, তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। আমি কি এত বড় আসামি হয়ে গেছি? এত বড় আসামি তো ছিলাম না।’
নায়িকার বলেন, ‘আমি লাইভ করেছি, একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে, আমি সেই মামলার আসামি। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি মাহিয়া মাহি, একটা পরিচিত মুখ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে যে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে, এতে আমি ভীত সন্ত্রস্ত। এয়ারপোর্ট থেকে আমাকে যে গাড়িতে গাজীপুর নেওয়া হয়েছে, সে গাড়িতে প্রচন্ড গরম ছিলো। আমি একটা ঠাণ্ডা পানির বোতল চেয়েছিলাম, সেটা কিনে দিতে তারা এক ঘণ্টা সময় নেন।’
স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মাহি বলেন, ‘আমার স্বামীও একই মামলার আসামি। আমি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও যে মানবিকতা পাইনি, তাহলে আমার স্বামী দেশে আসলে তার সঙ্গে কী হবে? আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে খুবই শঙ্কিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।