বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা আজ নিজেদের দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। কারো মাজার ভাঙছি, কোনো লাশ পুড়িয়ে দিচ্ছি—এটি তো রাসূলের শিক্ষা নয়।”
তিনি এ মন্তব্য করেন শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে।
রিজভী বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের চেতনাই বলি, রাষ্ট্রীয় চেতনাই বলি। অথচ আমরা নিজেদের ধর্ম এবং ইসলামকে বিভাজন ও বিরোধের জন্য ব্যবহার করছি। ঐক্যের প্রতীক ছিলেন মহানবী, কিন্তু আমরা তার শিক্ষা থেকে যথাযথভাবে শিক্ষা নিচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, মহানবী (সা.) সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য অনুপম নিদর্শন রেখে গেছেন। যদি আমরা তার আদর্শ অনুসরণ বা লালন করতাম, তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার ও হানাহানি বন্ধ হতো। রিজভী উল্লেখ করেন, “যিনি আমাদের মডেল, তিনি আমাদের আদর্শের প্রতীক, তাকে আমরা অনুসরণ করি না। এটাই মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।”
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী শফু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।
রিজভীর বক্তব্যে ধর্ম ও সমাজের মূল নীতি অনুসরণের গুরুত্ব, একতার প্রয়োজন ও বিভাজনের সমালোচনা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রসঙ্গত: গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহদী দাবি করা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় ‘তৌহিদি জনতা’। উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে পেট্রোল ঢেলে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নুরাল পাগলা অনুসারী ও স্থানীয় তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক নিহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।