লাইফস্টাইল ডেস্ক : নিশ্চিত করে বলা না গেলেও মোমোর উৎপত্তি সম্ভবত তিব্বতে। তবে এখন মোমোর প্রচলন এবং জনপ্রিয়তা ভারত, নেপাল এবং ভুটানেও প্রবল। মনে করা হয়, ১৪ শতকে তিব্বতি ব্যবসায়ীরা যখন ভারত ভ্রমণ করতেন, তখন তাঁরা এই খাবারটি সঙ্গে নিয়ে আসতেন। ধীরে ধীরে এটি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আজকাল পাড়ার মোড়ে মোড়ে মোমো পাওয়া যায়। কিন্তু সে সব কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? তার চেয়ে মোমো যদি বাড়িতেই তৈরি করা যায় তাহলে কেমন হয়? দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে বাড়িতেই তৈরি করা যায় এই সুস্বাদু খাবার।
উপকরণ
ময়দার জন্য:
২ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ লবণ
পরিমাণ মতো জল
পুরের জন্য:
১ কাপ কিমা (চিকেন বা ভেজিটেবল)
১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি
১/২ কাপ গাজর কুচি
১/২ কাপ বাঁধাকপি কুচি
১ ইঞ্চি আদা কুচি
২ টি কাঁচালঙ্কা কুচি
১/২ চা চামচ রসুন বাটা
১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
লবণ ও গোলমরিচ স্বাদমতো
তেল পরিমাণ মতো
পদ্ধতি
১) ময়দা তৈরি: ময়দা ও লবণ মিশিয়ে জল দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। ডো ঢেকে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
২) পুর তৈরি: একটি পাত্রে কিমা, পেঁয়াজ, গাজর, বাঁধাকপি, আদা, কাঁচালঙ্কা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। তেল গরম করে পুরের মধ্যে দিয়ে দিন।
৩) মোমো তৈরি: ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে পুর ভরুন। মোমোর আকার দিন ( অর্ধচন্দ্রের মতো বা গোল)।
৪) ভাপানো: একটি স্টিমারে জল গরম করুন। মোমোগুলি স্টিমারে সাজিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন। যদি বাড়িতে স্টিমার না থাকে তাহলে একটি বড় পাত্রে জল নিয়ে তার উপর ঝাঁঝরি বসিয়ে নিতে পারেন।
৫) পরিবেশন: গরম গরম মোমো সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
টিপস
৬) পুরের মধ্যে আপনি আপনার পছন্দসই সবজি যোগ করতে পারেন।
৭) মোমোগুলি ভাপানোর বদলে অল্প তেলে ভেজেও নিতে পারেন।
৮) পরিবেশনের সময় পছন্দ মতো চাটনি বা সস ব্যবহার করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।