জুমবাংলা ডেস্ক : শ্রমিক ঘাটতি পূরণে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্য উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, পরিষেবা ও রেস্তোরাঁ খাতের পাশাপাশি এবার আরও ৩টি নতুন সাবসেক্টরে বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সেবা ও কৃষি খাতের নতুন ৩টি সাবসেক্টরে নিয়োগকারীরা এখন থেকে বিদেশি কর্মী কোটার জন্য আবেদন করতে পারবেন। খাতগুলো হলো: লন্ড্রি, মেটাল/স্ক্র্যাপ আইটেম এবং ওয়ালেট পাখির বাসা (বার্ড নেস্ট)। এসব সাবসেক্টরে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে কোটার জন্য আবেদনের অনুমতি পেয়েছেন নিয়োগকর্তারা।
কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ (সংশোধনী ২০২২)-এর ৬০কে ধারা বাস্তবায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের মহাপরিচালকের কাছ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন পেতে এফডব্লিউই অনুমোদন মডিউলের অধীনে ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডব্লিউসিএমএস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারবেন নিয়োগকর্তারা। শ্রম বিভাগের মহাপরিচালকের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর নিয়োগকর্তারা ই-কোটা মডিউলের মাধ্যমে কোটা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
আবেদনগুলো তদারকি করবে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি এবং খাদ্য সুরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১৭ জানুয়ারি দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবাকুমার জানান, বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৫টি সোর্স কান্ট্রি থেকে বিদেশি কর্মীদের আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে দেশটির ‘মাইফিউচারজবস’ পোর্টালের পরিবর্তে এখন থেকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডব্লিউসিএমএস) মাধ্যমে উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং খাদ্য ও পানীয় খাতে বিদেশি কর্মীদের জন্য যাবতীয় তথ্যাদি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন নিয়োগকর্তারা।
সম্প্রতি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানিয়েছেন, বিদেশি জনশক্তির জন্য বিভিন্ন খাতের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে পুত্রজায়া অফিস একটি ‘বিশেষ পরিকল্পনা’ হাতে নিয়েছে। যার ফলে নিয়োগকর্তারা কোটা বা কর্মসংস্থানের পূর্বশর্ত পূরণ না করে তাদের সামর্থ্য ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাংলাদেশসহ ১৫টি উৎস দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।