জুমবাংলা ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় ১০ জন ভুয়া বাংলাদেশি চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক, দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন (ফার্মেসি) এর কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও অপারেশন বিভাগসহ বিভিন্ন পদের একটি দল জালান তুন তান সিউ, লেবোহ, পুডুহ এবং জালান সিলাংসহ ১০টি স্থানে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ইমিগ্রেশন অপারেশনসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জাফরি এমবক তাহা, ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশনের ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনাস মোহাম্মদ জারিব, এমওএইচ ফার্মেসি এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ডিরেক্টর মোহাম্মদ জাওয়াউই আবদুল্লাহ এবং ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ব্রাঞ্চের ডেপুটি ডিরেক্টর, এমওএইচ ফার্মেসি এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন মোহাম্মদ আজারউদ্দিনও ও অভিযান চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে একজনের কাছে পরিষেবা খাতের জন্য একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস, ছয়জনের কাছে নির্মাণ খাতের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ছিল, দুজন অতিরিক্ত সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেছিলেন এবং অন্যজনের কাছে কোনো ভ্রমণ নথি বা বৈধ পাস ছিল না।
পরিচালক বলেন, অপারেশন দল জাল চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ এবং নগদ ৮০০ রিঙ্গিত জব্দ করেছে, যা চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রির অর্থ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫০২ ধরনের অনিবন্ধিত ওষুধও জব্দ করেছে এবং জব্দ করা ওষুধের মূল্য আনুমানিক মূল্য ২৬৫,১৯২.০০ রিঙ্গিত।
এই বিদেশি নাগরিককে ১৯৫২ এর ধারা ১৩(ক), বিষ (সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) রেগুলেশন ১৯৮৯ এর রেগুলেশন ৩(১) এবং ১৯৮৪ সালের প্রবিধান ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস কন্ট্রোলের রেগুলেশন ৭(১) এর অধীনে অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জাকারিয়া বলেন, লাইসেন্সবিহীন বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসকরা শুধু প্রবাসী রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
বিক্রয় করা ওষুধগুলো অনিবন্ধিত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই, যা পর্যটক হিসেবে আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রতি ব্যক্তি ২০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়।
কর্তৃপক্ষকে এড়াতে এই কার্যকলাপটি একটি রেস্তোরাঁ বা খুচরা দোকানে বসে ছদ্মবেশে এই সেবা প্রদান করে আসছিল। চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রির জন্য প্রতিটি বাংলাদেশি গ্রাহকের জন্য ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত চার্জ করা হয় এবং এ সেবা প্রায় এক বছর ধরে চলছে এ সেবা।
ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে গ্রেফতার ভুয়া ১০ বাংলাদেশির পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।