মালদ্বীপে অবৈধভাবে কাজ করলে জেল ও জরিমানার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে কর্মীদের। মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য এ নতুন নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। এ বিষয়ে দেশটিতে কর্মরত সকল প্রবাসীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালদ্বীপে এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত। কর্মী ভিসা চালু থাকায় এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তবে এবার প্রবাসীদের জন্য নতুন করে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মালদ্বীপ সরকার।
দেশটির সরকারের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, যেকোনো বাংলাদেশি যদি অবৈধভাবে কাজ করেন, তবে জেল ও জরিমানার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পরিচালিত হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মালদ্বীপে ফ্রি ভিসা বলে কোনো ব্যবস্থা নেই। নির্দিষ্ট কোম্পানির নামে ভিসা নেয়া হলে সেই কোম্পানির অধীনেই কাজ করতে হবে। অন্য কোথাও কাজ করা বা ব্যবসা, আর্থিক লেনদেনে জড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অপরাধে শাস্তির পাশাপাশি ব্যক্তিকে ডিপোর্ট করা হবে। বারবার সুযোগ দেয়ার পরও প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ ফ্রি ভিসায় এসে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া কোনো ভ্রমণকারী যদি নির্ধারিত ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেন, সেটিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানায় হাইকমিশন। ভ্রমণ ভিসায় এসে চাকরি বা ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়াও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাইকমিশন বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দণ্ডনীয় অপরাধ।
পায়ের যন্ত্রণা অবহেলা করছেন? শরীরে বড়সড় রোগ বাসা বাঁধছে না তো!
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. সোহেল পারভেজ সময় সংবাদকে বলেন, ভ্রমণ ভিসায় আগত কোনো ভ্রমণকারী নির্ধারিত ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় মালদ্বীপে অবস্থান করলে তা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের বিধানও প্রযোজ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।