আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এতে কোনো সন্দেহ নেই যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য মালদ্বীপ এবং সেশেলস পৃথিবীর দুটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গ। ভ্রমণকারীদের জন্য দুটি দেশই ভিসামুক্ত। দেশ দুটির এমন পর্যটন নীতিমালা তাদের এই খাতকে ফুলে ফাঁপিয়ে তুলেছে।
রেকর্ড অনুসারে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত মালদ্বীপে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক বেড়েছে। তবে পর্যটক আকর্ষণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে চীন এবং তার পরে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি এবং ভারত। আর ২০২৩ সালে মালদ্বীপ পর্যটক আকর্ষণের রেকর্ড ভেঙেছে। ওই বছর দেশটি ১৮ লাখে বেশি পর্যটক টেনেছে, যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
সোনেভা জানি, হুরাওয়ালহি ওশান ভিলা এবং কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি দ্বীপের মতো বিশ্বমানের গন্তব্যর কারণে মালয়েশিয়া এত বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে পেরেছে। এসব স্থানে পর্যটকেরা গড়ে ৭ দশমিক ৮ দিন করে অবস্থান করেছে।
অন্যদিকে, সেশেলসও পর্যটক আকর্ষণ করতে ভ্রমণকারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। তবে দেশটি ২০২৩ সালে মালদ্বীপের তুলনায় অনেক কম পর্যটক আকর্ষণ করতে পেরেছে। দেশটি ওই বছর মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২০৪ পর্যটক আকর্ষণ করে। স্থিতিশীল পর্যটন এবং তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি দেশটির অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। সেশেলসের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।
পর্যটন উভয় দেশের জিডিপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে পর্যটন থেকে। মালদ্বীপের ৩০ শতাংশ ও সেশেলসের সামান্য বেশি ৩১ শতাংশ। তবে সম্প্রতি পণ্য ও পরিষেবা কর কৌশলগতভাবে বৃদ্ধির করে মালদ্বীপ এই খাত থেকে বিপুল আয় করছে।
উভয় দেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে টেকসই পর্যটন নীতিমালার ওপর জোর দিয়ে থাকে। রাফেলস সেশেলস এবং কেম্পিন্সকি সেশেলস রিসোর্টের মতো হোটেলগুলো সেশেলসের পর্যটন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। হোটেল দুটি বিশ্বের ভ্রমণকারীদের কাছে এক আবেদনের নাম।
সংক্ষেপে, মালদ্বীপ শক্তিশালী পর্যটন অবকাঠামো নিয়ে এগিয়ে থাকলেও সেশেলস আদিম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং কৌশলগত পর্যটন উদ্যোগের মাধ্যমে দর্শকদের আকর্ষণ করে চলেছে। দুটি দেশই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছে। ফলে তারা বিশ্বের পর্যটকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।
ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ সেশেলস। দেশটিতে আদিম সৈকত এবং রসালো ল্যান্ডস্কেপ রয়েছে, যা সারা বিশ্বের অসংখ্য দর্শক আকৃষ্ট করে। দেশটির অর্থনীতির বড় খাত পর্যটন। ফলে এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে পর্যটকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।