স্পোর্টস ডেস্ক : ফলাফল যা অনুমেয় ছিল, তাই হয়েছে। শক্তিমত্তার বিবেচনায় ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির ধারেকাছে ছিল না উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস। মাঠের লড়াইয়েও দেখা গেল এর প্রতিফলন। সেমি-ফাইনালে ৩-০ গোলের অনায়াস জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকে প্রত্যাশিতভাবেই আক্রমণাত্মক শুরু করে সিটি। তাতে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে জ্যাক গ্রিলিশের পাসে জোরাল শট নিলেও বের্নার্দো সিলভার বল উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৩১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। তবে মাথেউস নুনেসের জোরাল শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক নিশিকাওয়া। দুই মিনিট পর ফিল ফোডেনকেও হতাশ করেন তিনি। প্রথমার্ধে সবাই গোলশূন্য ড্র-ই ধরে নিয়েছিল। ঠিক তখনি সিটিকে গোল উপহার দেয় ডায়মন্ডস।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভুল করে বসেন ডায়মন্ডসের ডিফেন্ডার হেইব্রটেন। ডান দিক থেকে নুনেসের ছয় গজ বক্সে বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন নরওয়ের এই খেলোয়াড়। এই গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই আক্রমণের ঝড় তুলে দেয় সিটি। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোভাচিচ। কাইল ওয়াকারের পাস ধরে গতিতে একজনকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, এরপর জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয় গোলের ঠিক সাত মিনিট পর আবার গোল। ৫৯তম মিনিটে নুনেসের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডায়মন্ডস গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেয়ে শট নেন সিলভা, একজনের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ায়।শেষ দিকে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেও গোল পায়নি ডায়মন্ডস।
ফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রথম সেমি-ফাইনালে মিশরের ক্লাব আল আহলিকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিলের দলটি। এই মাঠেই আগামী শুক্রবার শিরোপা লড়াইয়ে কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হবে ইংলিশ ক্লাবটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।