আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না। তবু সফল হলেন না। সন্তানসুখ থেকে বঞ্চিত রইলেন। কিন্তু সব কিছুর জন্য প্রতিবেশী যুবককে কেন দায়ী করা হল?
প্রতিবেশী যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার। সেই কাজে ডাহা ফেল করেছেন ওই যুবক। তাই তাঁর নামে মামলা করলেন স্বামী। জার্মানির বাসিন্দা বছর ২৯-এর যুবক ডেমি়ট্রাস সুপলাসের তরফে এমন মামলা পেয়ে বিস্মিত পুলিশও।
বিয়ের পর ড্রেমিট্রাস জানতে পারেন তিনি কোনও দিন বাবা হতে পারবেন না। কিন্তু স্ত্রী ট্রটে তাঁকে সন্তানের জন্য চাপ দিতেন। ট্রটে চেয়েছিলেন স্বাভাবিক নিয়মে তাঁদের পুত্রসন্তান হোক। স্বামীর অক্ষমতার কথা জানতে পেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ডেমিট্রাস বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন। সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে চাইছিলেন ট্রটে। অগত্যা অন্য পরিকল্পনা করেন ডেমিট্রাস।
ওই দম্পতির বা়ড়ির পাশেই থাকেন ৩৪ বছর বয়সি মাউস। তিনি দুই সন্তানের বাবাও। অন্য কোনও রাস্তা না পেয়ে ডমি়ট্রাস প্রতিবেশী যুবককে এই কাজের ভার দেন। ট্রটের গর্ভে সন্তান আসার পর মাউসকে বেশি মোটা অঙ্কের টাকা দেবেনও বলেছিলেন।
চুক্তি হওয়ার পরের দিন থেকেই কাজে লেগে পড়েন ওই যুবক। সপ্তাহে এক দিন একান্ত সময় কাটাতেন ট্রটে এবং মাউস। তার পর কেটে গিয়েছে ৬ মাস। বহু বিনিদ্র রাত পার করেছেন তাঁরা। কিন্তু বিধাতা বোধ হয় ডমিট্রাস আর ট্রটের ললাটে সন্তানসুখ লেখেননি। ৭২ বারের প্রচেষ্টায়ও গর্ভধারণ করতে পারেননি ওই তরুণী।
ডমিট্রাসের পূর্ণ আস্থা ছিল মাউসের উপর। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, সন্তানের শরীরে তাঁর রক্ত না বইলেও ‘ড্যাডি’ ডাক তিনি শুনতে পাবেন। কিন্তু মাস ছয়েক পরে যখন তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে, সব রাগ গিয়ে পড়ল প্রতিবেশীর উপর। দায়িত্ব দিয়েও সেই কাজ ঠিকমতো করতে না পারার অভিযোগে সোজা মামলা করে বসলেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।