খেলাধুলা ডেস্ক : ইংলিশ ফুটবলের রূপকথার আরেক অধ্যায় রচনা করল ক্রিস্টাল প্যালেস। সবদিক দিয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জিতল কোনো মেজর শিরোপা। শনিবার ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত এফএ কাপ ফাইনালে এবেরেচি এজের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় লন্ডনের দলটি।
এফএ কাপের ইতিহাসে এর আগে দুইবার ফাইনালে উঠেও হতাশ হতে হয়েছিল প্যালেসকে, দুবারই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হার। তবে এবার ম্যানচেস্টারেরই আরেক ক্লাব, গত কয়েক মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলে আধিপত্য বিস্তারকারী ম্যান সিটিকে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণ করল রায় হজসনের শিষ্যরা।
৮৫ হাজার দর্শকে পূর্ণ ওয়েম্বলিতে শক্তির ভারসাম্যে যে ব্যবধান ছিল, সেটা ম্যাচে খুব বেশি কাজে লাগাতে পারেনি সিটি। শুরু থেকেই একচেটিয়া বল দখলে রেখে তারা আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। বরং, ম্যাচের ১৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগেই গোল করে এগিয়ে যায় প্যালেস।
ডান দিক থেকে দানিয়েল মুনোসের বাড়ানো বল পেনাল্টি স্পটের কাছে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে গোল করেন এবেরেচি এজে। সেই গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়।
এই জয়ে শুধু গোলদাতা এজেই নন, ম্যাচের আরেক নায়ক ছিলেন প্যালেস গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু সেভ করে সিটির একের পর এক আক্রমণ রুখে দেন তিনি।
৩৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ওমার মার্মাউশের শট ঠেকান, ফিরতি বলেও হলান্ডের প্রচেষ্টা রুখে দেন। এরপর ৪৩ ও অতিরিক্ত সময়েও জেরেমি ডোকু ও ডে ব্রুইনের নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে প্যালেসের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন হেন্ডারসন।
সিটি পুরো ম্যাচে বল দখলে রাখে প্রায় ৭৫ শতাংশ সময়। তারা ২৩টি শট নেয়, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। তবে দুর্বল ফিনিশিং ও হেন্ডারসনের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে গোলশূন্যই থেকে যায় তারা। অন্যদিকে, প্যালেস মাত্র সাতটি শট নেয়, যার দুটি লক্ষ্যে, একটি জালে।
৫৭ মিনিটে মুনোসের আরেকটি শট জালে গেলেও ভিএআরে অফসাইড ধরা পড়লে বাতিল হয়ে যায় প্যালেসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় গোল। শেষ মুহূর্তে ডে ব্রুইনের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হারের গ্লানি সঙ্গী করে মাঠ ছাড়ে সিটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।