বিনোদন ডেস্ক : ২০১৭ সালে ৩০ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সচল হয় সৌদি আরবের সিনেমা হলগুলো। আগাম খবরে, তারও আগে থেকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তৈরির উদ্যোগ নিতে শুরু করেন সৌদির তিন যুবক আল ফাদান, ইব্রাহিম আল খাইরুল্লাহ ও আলী খালতামি। প্রতিষ্ঠা করেন ‘তেলফাজ ১১’ নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মাত্র ছয় বছরে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বক্স অফিসে পরিণত হয়েছে সৌদি আরব। আর তেলফাজ হয়ে উঠেছে দেশটির অন্যতম প্রধান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আসে তাদের প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘সাত্তার’। সিনেমাটি সৌদির বাজারে তুমুল সাড়া ফেলে। হলিউড রিপোর্টারের দেওয়া তথ্যমতে, সৌদিতে এ সিনেমা দেখতে ৯ লাখ ৩০ হাজারের বেশি দর্শক হলে গেছে। বিশ্বজুড়ে সাত্তার আয় করেছে ১১ মিলিয়ন ডলারের বেশি। যা সৌদি সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এবার তেলফাজ নিয়ে আসছে দ্বিতীয় সিনেমা ‘মানদুব’। কমেডি থ্রিলারটি পরিচালনা করেছেন আলী খালতামি। এ বছর টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে এর প্রিমিয়ার হয়। সেখানে বেশ প্রশংসিত হয় মানদুব। উৎসব পেরিয়ে এবার সিনেমাটি সৌদির হলে মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে মানদুবের ট্রেলার। এতে অভিনয় করেছেন সৌদি অভিনয়শিল্পী মোহাম্মদ আলদোখেই, মোহাম্মদ আলগারাভি ও হাজর আলসামারি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, সাত্তার সিনেমার মতো মানদুবও সৌদি সিনেমায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
এ সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে ফাহাদ নামে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এক ব্যক্তির গল্প, যে তার অসুস্থ বাবাকে বাঁচাতে প্রাণপণ লড়াই করছে। রিয়াদের এক কলসেন্টারে চাকরি করত সে। একসময় চাকরিটা চলে গেলে রাত্রিকালীন ডেলিভারি বয়ের কাজ নিতে বাধ্য হয়। এ কাজে নানা অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় ফাহাদকে। নির্মাতা আলী খালতামি বলেন, ‘রিয়াদের মতো ঝাঁ-চকচকে একটি শহরের রঙিন আলোর আড়ালে যে গল্পগুলো লুকিয়ে থাকে, সেগুলোকে তুলে আনতে চেয়েছি। যে চিত্র ওপর থেকে দেখা যায় না, অথচ শহরে প্রতিনিয়ত সেসব ঘটনা ঘটে চলেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।