জুমবাংলা ডেস্ক: টানা ২ দিনের মুষুলধারার বৃষ্টিতে বন্ধ থাকার পর আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজারে আমের দাম মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে চাষিরা মনে করছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আমের দাম কমেছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে দাম আগের মতো পাবেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘা জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। এ বছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
আম চাষি মহব্বত আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে চাষিরা কানসাট বাজারে আম আনতে পারেনি। এ ২ দিনে আমের দাম মণে ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বন্যার পানি কমে গেলে দাম ফের বাড়বে। গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম বেশি।
আম চাষি আবুল হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা। বন্যার কারণে বাইরের জেলায় আমের সরবরাহ কমে গেছে। আবার আম পচনশীল হওয়ায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত ২ দিনে গাছ থেকে পেড়ে আম বাজারে আনা যায়নি। নষ্ট হওয়ার ভয়ে কম দামেই বিক্রি করেছি।
আম ব্যাপারি নিয়ামতুল্লাহ বলেন, গত বছর ফজলি আম ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা মণে কিনেছিলাম। এবার ঝড়েপড়া কাঁচা আম কিনতে হয়েছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা মণে। এখন কানসাটে ভালো মানের আম বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা মণে। এতে আমের দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম বেশি। বাগানে আমও কম। তবে বন্যার কারণে অন্য জেলায় আম সরবরাহ কমে গেছে, এতে স্থানীয় বাজারে দাম সাময়িক কমে যেতে পারে।
ব্যাংক থেকে ৬.৬ কোটি টাকা ঋণ চাইলেন কৃষক!‘চাষ করে লাভ নেই, এবার হেলিকপ্টার চালাব”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।