সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম ঈদকে সামনে রেখে হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করেছেন হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। নাম তার মানিক বাহাদুর। সাড়ে তিন বছর বয়সী ষাঁড়টির বর্তমান ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ মণে। সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতা এবং সাড়ে আট ফুট লম্বা।
উপজেলার তেওতা জমিদারবাড়িসংলগ্ন সিরাজুলের খামারে বেড়ে ওঠা মানিক বাহাদুরকে দেখার জন্য অনেক ক্রেতাই ছুটে আসছেন। ষাঁড়টি ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছে খামারি সিরাজুল।
খামারি সিরাজুল জাানান, মানিক বাহাদুরের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রয়েছে ছোলা, ভুসি, গম ও কাঁচা ঘাস। মোটাতাজা করতে কোনো প্রকার ওষুধ কিংবা ইনজেকশন প্রয়োগ করেননি বলেও দাবি সিরাজুলের।
ষাঁড়ের নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে খামারি সিরাজুল জানান, নিজ জেলা মানিকগঞ্জের সঙ্গে মিলিয়ে ‘মানিক’ ও বিশাল বড় বলে ‘বাহাদুর’ নাম যোগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো নাম মানিক বাহাদুর।
এদিকে হরিরামপুর উপজেলার রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেনের গোয়ালে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১২শ কেজি (আনুমানিক ৩০ মণ) ওজনের সম্রাট নামের ষাঁড় । জীবিকার জন্য রাজমিস্ত্রী জাকির হোসেন সম্রাটের সেবা যত্ন তেমন করতে পারেননা। তবে স্ত্রী ও ছেলে মিলে দিন রাত পরিশ্রম করেছেন শখের সম্রাটকে প্রস্তুত করতে।
সাদা কালো রঙের মিশ্রণের হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৬ মাস বয়সী এই সম্রাটের ওজন আনুমানিক প্রায় ৩০ মণের মতো। খামারি গরুটির দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা। বাল্লা ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন।
শখের বশবর্তী হয়ে পাশের গ্রাম থেকে ২০ মাস আগে তিনি কিনেছিলেন একটা হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বাছুর। আর তখনই আদর করে শখের বশে গরুটির নাম রাখা হয়েছিল ‘সম্রাট’।
খামারি জাকির হোসেন বলেন, ২০ মাস আগে সম্রাটকে ৭৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। প্রতি মাসে সম্রাটের পেছনে আমার ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ পর্যন্ত খাবার বাবদ প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাদ্য খাবার দিয়ে গরুটাকে এতো বড় করেছি। এই গরুর খাবারের পেছনে যে খরচ হয়, তা আমি আর যোগান দিতে পারছি না। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কই পামু। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছরই গরুটা বিক্রি করার। তবে আমি আশায় আছি বাড়ি থেকে যেন গরুটা বিক্রি করতে পারি। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মানিকগঞ্জ ডেইরি ফার্ম মালিক সমিতির সভাপতি মো. মহিনুর রহমান বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর বেশ কিছু খামারে গবাদি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। ভারতীয় গরু আসার কারণে গত বছর ন্যায্যমূল্য পায়নি তারা। আশা করছি এবারের ঈদে ভারতীয় গরু প্রবেশ করতে দেবে না সরকার, ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে হয়তো খামারিরা কিছু টাকা লাভের মুখ দেখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।