জুমবাংলা ডেস্ক : উড়োজাহাজ আকাশে ওড়ে, মানুষ উড়োজাহাজে চড়ে। এর মানে মানুষও আকাশে ওড়ে! এমন চিন্তা ১০ বছর বয়সী শিশু মানিক মিয়ার মনে।
তাই সে উড়োজাহাজে উঠে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন পূরণের জন্য ১৫০ টাকা জমায় সে। সেই টাকা খরচ করে রংপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যায় সে। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়ে ভিআইপি লাউঞ্জে। কিন্তু বিমানে আর ওঠা হয়নি মানিকের। ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে আটকে দেয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। শিশু মানিক মিয়ার বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওডোবা এলাকায়। সে নগরীর হাজী তমিজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছুটির পর বিদ্যালয়ের পাশের একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে সে।
ওই শিশু জানায়, রোববার আসরের আজানের পর বাড়ি থেকে বের হয় সে। ১০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসে। এরপর সেখানে বাস না পাওয়ায় আরও ১০ টাকা দিয়ে মেডিকেল মোড়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে করে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে ৫০ টাকায় একটি রিকশা ভাড়া করে বিমানবন্দরে যায়। সেখানে দুজন যাত্রীর পেছন নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছায় সে।
শিশুটির বাবা মিঠু মিয়া জানান, ছোটবেলা থেকেই আকাশে বিমান উড়লে তা দেখতে ঘর থেকে বাইরে ছুটে যায় সে। তার খুব ইচ্ছে বিমানে চড়ার। সে প্রায় রাতে বাবাকে বলে একদিন বিমানে উঠবে। বিমান চালাবে।
বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন রুলস অনুযায়ী বেরিয়ার অতিক্রম করে এয়ারপোর্টে প্রবেশ একটা অপরাধ। তবে অনুপ্রবেশকারী শিশু। বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রোববার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রটোকলে এয়ারপোর্ট পৌঁছে দিতে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ভিআইপি লাউঞ্জে ওই শিশুর অনুপ্রবেশের বিষয়টি জেনেছি। এটা সিভিল এভিয়েশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এরআগে, ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ১২ বছরের এক শিশু ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিমানের ফ্লাইটে উঠে পড়ে। পরে তাকে জিম্মায় নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ। সারা দেশে ব্যাপক আলোচিত ছিল ওই ঘটনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।