জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ মনসুর আলম। তিনি পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে বিএনপিকে দায়ী করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
মনসুরের সেই স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে মনসুরকে বলতে শোনা যায়, আমি কাউকে ফাঁসাতে কোনো মিথ্যা বলছি না। কোরআন হাতে রেখে বলছি, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ সব টিম লিডার মিলে ভার্চুয়াল মিটিং করি।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটের দিকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কল আসে। প্রায় ১৭ মিনিট কথা হয়। ওই মিটিংয়ে দুটি সিদ্ধান্ত আসে। ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া এবং ককটেল মেরে ভীতি সৃষ্টি করা। এ ছাড়া ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজটা দেওয়া হয় সদস্যসচিবকে।
মনসুর বলেন, আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে এবং কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে বলছি, আমি মোটেও মিথ্যা বলছি না। আমি কাউকে ফাঁসাচ্ছি না, কোনো মিথ্যাও বলছি না।
এদিকে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন আটজন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনা উদঘাটন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মো. সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।