আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সেই দেশের জনগণ। জনগণই যদি না থাকে সেই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কী? জন্মহার কমে যাওয়ায় নতুন সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা এই দেশটিতে দিনকে দিন বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য নতুন উপায় খুঁজছে দেশটি। যদিও জন্মহারের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা অন্যান্য রাষ্ট্রে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করে এই সমস্যা সমাধান করেছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া অভিবাসন প্রক্রিয়া কখনো সহজ করেনি।
জুলাই মাসের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একটি নতুন মন্ত্রণালয় চালু করার বিল পাস করতে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয় নিম্ন জন্মহার, বয়স্ক জনসংখ্যা, জনশক্তি এবং অভিবাসন বিষয়ক কার্যকর ও সময় উপযোগী কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। জন্মহার বাড়ানোর বাজেট বরাদ্দ ও সমন্বয়ের দিকে জোর দেবে দেশটির স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিল পাস হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুরু হবার কথা রয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে ডেমোগ্রাফিক তথ্যের ওপর গবেষণা এবং জনসংখ্যা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মসূচি ও প্রচারণা বাড়ানো।
স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্য— ২০২২ সালে একটি জরিপে দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্টিলিটি হার বিশ্বে সবচেয়ে কম ছিল। ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার আরও কমবে। ০.৭৮ হার থেকে কমে দাঁড়াবে ০.৬৫-তে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।