লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিষয়টি আপাত ভাবে ‘নোংরা’ বলেই বিবেচিত হয়। তাই কেন নাকের ভিতরে আঙুল ঢোকানো হয়, তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও খুব কম। অথচ এই আপাত নোংরা বিষয়টির পিছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
‘নাক খোঁটা’ শব্দবন্ধ শুনলেই গা ঘিনঘিন করে অনেকের। কিন্তু তাই বলে কোনও দিন নিজের নাক খোঁটেননি এমন মানুষও খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিষয়টি আপাত ভাবে ‘নোংরা’ বলেই বিবেচিত হয়। তাই কেন নাকের ভিতরে আঙুল ঢোকানো হয়, তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও খুব কম। অথচ এই তথাকথিত নোংরা বিষয়টির পিছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, অ্যানি ক্লেয়ার ফাব্রে এক দিন এক বন্যপ্রাণীর কাণ্ড দেখে বিষয়টির উৎস অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেন। অ্যানি দেখেন, মাডাগাস্করের আয়-আয় নামের একটি প্রাণী প্রায়শই আঙুল ঢোকায় নাকে। মানুষের মতোই এই প্রাণীটিও একটি প্রাইমেট।
সরল ভাবে বললে, মানুষ, হনুমান বা বাঁদরের মতো প্রায় ২০০ প্রকার প্রাণীকে প্রাইমেট বলা হয়। অ্যানি খেয়াল করেন, ওই প্রাণীটি নিজের হাতের সবচেয়ে লম্বা আঙুলটি নাকে ঢোকায়। এর পর তিনি প্রাণীটির সিটি স্ক্যান করেন। দেখা যায় নাকের গহ্বর পেরিয়ে প্রায় গলা পর্যন্ত ঢুকে যায় তার আঙুল। বিজ্ঞান পত্রিকা ‘জার্নাল অফ জুলজি’-তে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর এই গবেষণা।
গবেষণাপত্রে অ্যানির নেতৃত্বে এক দল গবেষক খুঁজে দেখেছেন, শুধু মানুষ নয়, মোট ১২ ধরনের প্রাইমেট প্রাণী নাক খোঁটে। কাজেই এই অভ্যাসের শিকড় লুকিয়ে থাকতে পারে বিবর্তনে। আর বিবর্তনের মাধ্যমে কোনও অভ্যাস তৈরি হলে সাধারণত কোনও না কোনও বিশেষ কারণ থাকে তার পিছনে।
তবে কার্যগত ভাবে নাক খোঁটার ভূমিকা কী, তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। আসলে বিষয়টি নিয়ে প্রচুর হাসি-ঠাট্টা করা হলেও গবেষণার পরিমাণ একেবারেই নগণ্য। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।