জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পার গ্রাম। ডুবে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার ১২ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা কিংবা অর্ধপাকা রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে মৌসুমি সবজি ও আমন চাষিরা। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও কমে গেছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে শত শত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকের বাড়ি-ঘর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব পরিবারের উনুন এখন ঘরের দোতলায়। বিভিন্ন গ্রামে সাপের উপদ্রবও বেড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে আমন বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে থাকায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে এ বছর আমন ফসল পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এসব কৃষকরা। একই সাথে জলাবদ্ধতায় বর্ষাকালীন সবজি সহ অন্যান্য সবজির ক্ষেতে পচন ধরেছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট। আবার অনেকেই আশেপাশের অপেক্ষাকৃত উঁচুস্থানে গরু-ছাগল নিরাপদে রেখেছেন।
টিয়াখালী গ্রামের কৃষক মুনসুর আলী জানান, তাদের ঘরের মধ্যে পানিতে থৈ থৈ করছে। তাদের আয়ের উৎস জমির ধান। এ বছর পানিতে বীজতলা তলিয়ে থাকায় আমন ফসল নিয়ে তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
কৃষক মোতালেব জানান, এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে তার ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। ঘের মালিক মো.বসির হাওলাদার বলেন, তার সবক’টি ঘের এবং পুকুর থেকে চার ভাগের তিন ভাগ মাছ বেরিয়ে গেছে। তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে মাছ চাষ করেছিলেন। টাকা পরিশোধ নিয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শাহজাদা পারভেজ টিনু মৃধা বলেন, অতি বৃষ্টিতে প্রায় দুই শতাধিক মাছের ঘের ও ২ হাজার পুকুর পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তা তলিয়ে রয়েছে। মোট কথা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এখন ঘরবন্দী রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত সারানো যায় সেজন্য স্লুইজগুলো ওপেন করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যপারে স্পেশাল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন কাজ করছেন। যারা বাঁধ দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।