স্পোর্টস ডেস্ক : প্রশ্নটা ছিল অভিজ্ঞতার মূল্য নিয়ে। এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশাল অভিজ্ঞতায় ভরপুর দল।
তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে আছেন সৌম্য সরকার-মেহেদী হাসান মিরাজরাও। এমন দল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বড় স্বপ্নও ছিল বরিশালের।
তার প্রতিদান দিয়েই এখন ফ্র্যাঞ্চাইজটি ফাইনালে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুশফিকুর রহিম। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, ১৫০ রান তাড়ার ম্যাচে অভিজ্ঞতার মূল্য কতটা তা নিয়ে। মুশফিক নিজেও ৩৮ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মুশফিক বলেন, ‘কেন ভাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তো বললেন যে, বরিশাল সবচাইতে বুড়াদের টিম। অভিজ্ঞদের নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলা হয় না। তো হিয়ার উই আর। আমার কাছে মনে হয় এই ধারণাটা খুবই ভুল। যেই বলুক, আপনারা বলেন বা যেকোনো… অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্য, সবসময় একটা মিক্সার থাকে যেকোনো ফরম্যাটে; টি-টোয়েন্টি বলেন, ওয়ানডে বলেন, টেস্ট বলেন। সব ফরম্যাটেই।’
‘আর এটাই হচ্ছে একটা দুনিয়ার নিয়ম। নতুনরা আসবে, পুরনোরা চলে যাবে এবং তাদের সংমিশ্রণে ওই জিনিসটা তৈরি হয়ে যাবে। ওই লিগেসিটা যেন আমরা যারা আছি তারা যেন রেখে যেতে পারি এবং তারা যেন এখান থেকে বড় হয়। ’
‘কয়েকদিন পরে হৃদয়, তামিম এরাও সিনিয়র হবে। তারাও আস্তে আস্তে… কিন্তু ওরা যেন ওই লিগেসিটা রেখে যায়। তো এই জিনিসটা হচ্ছে একটা স্মুথ ট্রানজিশন। যেটা কি না আমার কাছে সবসময় একটা রিয়েলিটি, যেটা আমি বললাম নিয়তি; এভাবেই হবে। এটাকে এতবার করে বারবার বলা হয় যখন, এই জিনিসটা খুব খুব…। সিনিয়র বলেন, জুনিয়র বলেন আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবাই বাংলাদেশের জন্য ক্রিকেট খেলি, অন্য কোনো দেশের জন্য খেলি না। ’
জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকেও অবসরে গিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে প্রায়ই শুনতে হয় বয়স হয়ে যাওয়ার কথা। সিনিয়রদের জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নও আসে বারবার। যখন বলা হয় বুড়োদের দল, তখন কি আলাদা একটা প্রেরণাও কাজ করে?
মুশফিক বলেন, ‘না ভাই, আমাকে মোটিভেট করে না। আমার কাছে খারাপ লাগে। কারণ আপনি যদি এখনও অনেক তরুণ খেলোয়াড়দের আমার সামনে নেন, আমি অবশ্যই নিশ্চিত তারা আমার ফিটনেসের ধারেকাছেও থাকতে পারবে না। আমি এটা লিখে দিতে পারি। ফিটনেসের ক্রাইটেরিয়া কীভাবে দেবেন বয়স বা ধরেন পারফরম্যান্সে। ’
‘আমার কাছে মনে হয় বয়স ও পারফরম্যান্সের থেকে সবচেয়ে বড় হয় ফিটনেস বা পারফরম্যান্সটা কতটুকু। বয়স জাস্ট আ নাম্বার। না হলে জেমি অ্যান্ডারসনের মতো ১৮৮, যাক নম্বরটা হয়তো এদিক-ওদিক হবে; এরকম খেলোয়াড় খুব কম থাকতো। কিন্তু এখনও হি ইজ ডুয়িং হোয়াট হি ডাজ বেস্ট। ’
‘তো আমার কাছে মনে হয় এই কথাটা খুব ভুল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে প্রমাণ করার জন্য খেলি না। আমাকে যে নেয়, আমাকে যে দল নিয়েছে, স্পেশালি তামিম ও বরিশালের মালিকপক্ষ, তাদের ওই বিশ্বাসটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তারা যে চিন্তা করে নিয়েছে, সেটা যেন আমি আমার পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করতে পারি। প্রমাণের কিছু না, বিশ্বাসটা যেন আমি দিতে পারি। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।