স্পোর্টস ডেস্ক: বিদায় ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু তিন অক্ষরের এই শব্দটাই ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে কোটি ভক্তের হৃদয়। বিদায়বেলায় মার্সেলো নিজে কাঁদলেন। কাঁদালেন সমর্থকদেরও।
একটা স্বপ্ন নিয়ে ২০০৭ সালে ব্রাজিল থেকে স্পেনে এসেছিলেন। স্বপ্ন ছিল বিশ্বসেরাদের তালিকায় নাম লেখানো। গেল ১৬ বছরে মার্সেলো সেটা করে দেখিয়েছেন। নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রতিটা ইট কাঠের সঙ্গে নিজের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে। তাইতো বিদায় বলাটা এতটা সহজ নয় মার্সেলোর জন্য।
যেতে নাহি দিবো হায়। তবু যেতে দিতে হয়। মার্সেলোকেও বীরের বেশে বিদায় জানালো রিয়াল মাদ্রিদ। চমৎকার নেতৃত্বগুণ, আর রক্ষণ সামলানোর অসামান্য দক্ষতায় মার্সেলো নিজেকে পরিণত করেছেন রিয়ালের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। বিদায়বেলা অনেকেরই আক্ষেপ, শেষটা রঙ্গিন না করতে পারার। মার্সেলোর ক্ষেত্রে সেটাও হয়নি। সৃষ্টিকর্তা দু’হাত ভরে দিয়েছেন এই ডিফেন্ডারকে। মাত্র কদিন আগে প্যারিস জয় করে ফিরেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৪তম শিরোপা।
১৬ বছর। ৫৪৬ ম্যাচ ২৫টি ট্রফি। বর্ণিল ক্যারিয়ারে এমন অর্জন কজনেরই ভাগ্যে জোটে? মার্সেলোর মত বীরকে বিদায় বলতে তাই বুকটা ভেঙ্গে গিয়েছিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও ক্লাবটির কিবদন্তি ফুটবলার রাউলের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের এমন সাফল্যের জন্য সতীর্থ, পরিবার, বন্ধু ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন মার্সেলো।
বলেন, আমি যখন ব্রাজিল ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসি। তখন অনেক স্বপ্ন দেখতাম। রিয়াল মাদ্রিদ সেগুলো বাস্তবায়নের পথ করে দিয়েছে এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এ যাত্রায় আমার পরিবারও পাশে থেকেছে সব সময়। ১৮ বছর বয়সে আমি রিয়ালের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলাম। আর আজ আমি পরিণত একজন মানুষ। এ স্বপ্নযাত্রার পুরো কৃতিত্ব রিয়ালের।
রিয়াল মাদ্রিদ এক সময় বিশ্বের সেরা ক্লাব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে বলেও বিশ্বাস মার্সেলোর। কিংবদন্তি এ ফুটবলার বলেন, রিয়াল মাদ্রিদ তরুণদের জন্য সেরা জায়গা। আমার ছেলেও এখানকার যুব দলে খেলে। প্রতিশ্রুতিশীলদের মেলে ধরার জন্য রিয়াল সেরা জায়গা। রিয়াল ফুটবল বিশ্বকে শাসন করবে।
এমন চমৎকার ক্ষণে পরিবার ও সন্তানরাও এসেছিলেন তার বিদায়ে সামিল হতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।