স্পোর্টস ডেস্ক : যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, সেখানেই ফিরেছি—এভাবেই নিজের নতুন গন্তব্যের নাম প্রকাশ করলেন মার্সেলো। শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে যোগ দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান লেফটব্যাক।
ক্যারিয়ারের হাতেখড়িটা ছিল এখানেই। মূল দলে ২ বছর খেলার পর তার প্রতিভা নজরে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদের। তারপর আর কী! ১৫ টি মৌসুম লস ব্লাঙ্কোসদের হয়েই কাটিয়ে দেন তিনি।
রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী ফুটবলার ছিলেন মার্সেলো। কিন্তু পারফরম্যান্সের পড়তির কারণে নিয়মিত একাদশে জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। চলতি মৌসুমে অলিম্পিয়াকোসে যোগ দিয়েও উন্নতির পথে হাটতে পারেননি। তাই পাঁচ মাসেই বাতিল করতে হয় চুক্তি। ১০ ম্যাচ খেলে ৩ গোল করেছেন যদিও। কিন্তু মূল কাজে (ডিফেন্স) অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন এই ডিফেন্ডার। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের মতে, এটাই মার্সেলোর সঙ্গে অলিম্পিয়াকোসের চুক্তি বাতিলের কারণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্সেলো লিখেছিলেন, ‘আমি গ্রিসে অবিস্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। পিরাউস ও তাদের জনগণ আমার হৃদয়ে আছে। তবে এই অসাধারণ দেশটিতে এটাই শেষবার নয়। অলিম্পিয়াকোসে জার্সি গায়ে জড়ানোর জন্য কেবল কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করতে পারি। যদিও সময়টা খুব অল্প, তবে এখানকার অভিজ্ঞতা এবং আমি যেসব বন্ধুদের পেয়েছি তা আমার জীবনে চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমি অলিম্পিয়াকোসের সফল ভবিষ্যৎ কামনা করি! ধন্যবাদ, অলিম্পিয়াকোস। ’
মার্সেলোকে বিদায় দিয়ে অলিম্পিয়াকোস লিখেছিল, ‘পুরো অলিম্পিয়াকোস পরিবারের পক্ষ থেকে মার্সেলোকে ধন্যবাদ। আমাদের সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য থেকেছে কিন্তু তা চিরস্থায়ী বন্ধন তৈরির করার জন্য যথেষ্ট। ’
১৭ বছর পর আবারও শৈশবের ক্লাবে ফিরে ৩৪ বছর বয়সী মার্সেলো নিজের হারানো পারফরম্যান্স খুঁজে পান কি না সেটাই দেখার বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।