আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট নেই এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। মানুষ এখন সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত। আর এই সময় নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করেছেন বাংলাদেশের এক তরুণ।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর মিঠু ইসলামের ‘সামাজিক জলি’ অ্যাপটিতে রয়েছে বিভিন্ন ফিচার। তাই ব্যবহারকারীরা এটি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো ব্যবহার করতে পারেন।
তবে এতে আরও সুবিধা রয়েছে বলেও দাবি করেন মিঠু। তিনি বলেন, এই অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিনামূল্যে টেলিভিশন দেখার এবং অনলাইনে আয় করার সুযোগ রয়েছে।
এই অ্যাপ তৈরিতে অবদান আছে ভারতের। ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারজানী গ্রামের মিঠু পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রোসাটম কোম্পানিতে কর্মরত তিনি।
তিনি সেখানে কাজ করার সঙ্গেই অনলাইন থেকে আয় করার চিন্তা করেন। মোবাইলে অ্যাপ বানিয়ে ভালো টাকা আয় করা যায় সেটা ইউটিউব থেকে জানান পরেই এটা করার ভাবেন তিনি।
মিঠু জানান, ওই অ্যাপ করার চিন্তাভাবনা করার পরে গত বছর অগস্ট মাসে তিনি যোগাযোগ করেন ভারতের একটি ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ‘সোশ্যাল জলি’ নামের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। ভারতের ডেভেলপার কোম্পানিই তাঁকে ওই অ্যাপটি তৈরি করে দেয়।
এই অ্যাপে কী সুবিধা?
মিঠুর দাবি, সোশ্যাল জলি অ্যাপটিতে ১৬টি ফিচার রয়েছে। এটা কোনো জুয়ার সাইট নয়। এটা একটি সোশ্যাল মিডিয়া। তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন, প্লেস্টোর থেকে একইভাবে সোশ্যাল জলি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
এর মধ্যে ফ্রিতে টেলিভিশন দেখা ছাড়াও অনেক অপশন আছে। সেইসঙ্গে ব্যবহারকারীরা যতক্ষণ সোশ্যাল জলিতে সময় কাটাবেন তার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এই সুবিধা অন্য কোনো অ্যাপে নেই।’
ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। সেখানে চ্যাটজিপিটি, পডকাস্ট, টেলিভিশন, রিলস, ভিডিয়ো, হাইলাইট, কম্পিটিশন, ক্লাব, স্টোরিসহ বিভিন্ন ফিচার রাখা আছে।
মিঠুর আগামীদিনের পরিকল্পনা
মিঠু জানান, মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক থেকে যেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তিনিও সেই রকম সম্মান অর্জন করতে চান। এই অ্যাপটি দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য সরকারের নির্দিষ্ট দফতর থেকে লাইসেন্স নিতে চাইছেন তিনি। এই অ্যাপটি ভেরিফায়েড এবং বড় প্লাটফর্ম হলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। তাঁর দাবি, ইতিমধেই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে এই অ্যাপ।
অনেক দেশেই ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না। সেখানে তাদের দেশের নিজস্ব অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক মনে করেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।