মেটার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “মিস্টার জুকেরবার্গ এবং ম্যানেজমেন্টের অন্য কিছু সদস্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্মে জডিয়ে পড়ছেন। যেমন, কমব্যাট স্পোর্টস, এক্সট্রিম স্পোর্টস, রিক্রিয়েশনাল অ্যাভিয়েশন। এই ঝুঁকি গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদি জুকেরবার্গকে কোনও কারণে পাওয়া না যায়, তা আমাদের কাজে অনভিপ্রেত প্রভাব ফেলতে পারে।”
নিউইয়র্ক: ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গের জীবনযাত্রা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাঁর সংস্থা। মেটা তাঁর সাম্প্রতিক ফিনান্সিয়াল রিপোর্টে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা করেছে। মেটার সিইও মার্ক জুকেরবার্গ বিভিন্ন রকম অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে থাকেন। বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার তাঁর হবি। মিক্সড মার্শাল আর্ট, এক্সট্রিম স্পোর্টস জুকেরবার্গের পছন্দের ক্রীড়াকলাপ। রিক্রিয়েশনাল অ্যাভিয়েশনও করেন তিনি। সেই সঙ্গে কমব্যাট স্পোর্টস তো রয়েইছে। এই ধরনের অ্যাক্টিভিটিতে চোট লাগার আশঙ্কা থাকে। এমনকি প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এই কারণেই জুকেরবার্গের এই ধরনের কাজকর্মে করে বেড়ানো মেটার সংস্থার কাছে ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠছে বলে মেটার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়টি সামনে আসতে জুকেরবার্গের অভ্যাস নিয়ে আলোচনাও চলছে।
জুকেরবার্গের ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্মের প্রেক্ষিতে মেটার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “মিস্টার জুকেরবার্গ এবং ম্যানেজমেন্টের অন্য কিছু সদস্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্মে জডিয়ে পড়ছেন। যেমন, কমব্যাট স্পোর্টস, এক্সট্রিম স্পোর্টস, রিক্রিয়েশনাল অ্যাভিয়েশন। এই ঝুঁকি গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদি জুকেরবার্গকে কোনও কারণে পাওয়া না যায়, তা আমাদের কাজে অনভিপ্রেত প্রভাব ফেলতে পারে।”
তবে এই বিষয়টি সামনে আসতে মিলেছে মেটা কর্তা জুকেরবার্গের প্রতিক্রিয়া। থ্রেডে তিনি লিখেছেন, “ভাল পয়েন্ট। এমএমএ না করলে লগ্নিকারীদের বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত। জুকেরবার্গের এমএমএ সংস্থার কাছে ঝুঁকির হয়ে যাচ্ছে?” এর পর একটি জিআইএফ শেয়ার করেছেন জুকেরবার্গ। সেখানে লেখা, “হাই রিক্স = হাই রিওয়ার্ড”। অর্থাৎ ঝুঁকি যেখানে বেশি, পুরস্কারও সেখানে বেশি।
জুকেরবার্গের ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাক্টিভিটির প্রতি ভালবাসা নতুন নয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এই ধরনের কাজকর্মের ছবিও পোস্ট অতীতে করেছেন মার্ক। এমনকি তা করতে গিয়ে সম্প্রতি পা ভেঙেছিল তাঁর। এর পর পায়ে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এ সব নিয়েই চিন্তিত মেটা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।