জুমবাংলা ডেস্ক: অন্যদিনের মতোই চাঁপাইনবাগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে চলছিল বিচারকাজ। বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে একটি বিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে আদালতে ৮ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে আসেন এক মা। জ্যেষ্ঠ বিচারক হুমায়ুন কবীর বিষয়টা দেখে স্বপ্রণোদীত হয়ে মামলার দুই আইনজীবীকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চান।’
আদালতের এ পর্যবেক্ষণ ও ঘটনার পূর্বাপর সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনজীবী আবদুল কালাম আজাদ জানান, গোমস্তাপুরের নাদিম আলী ও শিউলি বেগমের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়। এরপর নানান কারণে তালাক হয়। তখন শিউলি বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপর ২০২১ সালের শিউলি বেগম বাদী হয়ে মামলা করে। আদালতে মামলা চলমান অবস্থায়ই ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর জন্ম নেয় সন্তান। প্রায় এক বছর থেকে মামলাটি চলছে।
বুধবার (১৫ জুন) শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বাদী পক্ষের সাক্ষী শুনানি ছিল। ৮ মাসের সন্তান নিয়ে আদালতে ওই নারী আসলে বিচারক বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমরা দুই আইনজীবী উভয় পক্ষকে নিয়ে স্যারের (বিচারকের) খাস কামরায় যাই। পরে বিচারক স্বামী-স্ত্রীকে বুঝিয়ে আবার নিজে সাক্ষী হয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। তার আগে ব্যবস্থা করা হয় একটি লাল শাড়ির।
এদিকে বিচারক হুুমায়ন কবির সামাজিক মাধ্যমে নিজ টাইমলাইনে সেই দম্পতির সাথে ছবি পোস্ট করে জানান, ‘৭ মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে মেয়েটা ডিভোর্সের শিকার হয়। যৌতুকের মামলা করে এবং আট মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে ছয়জন সাক্ষীসহ আজ আমার আদালতে হাজির। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে লাল শাড়ি পরিয়ে বধূ সাজিয়ে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে এই নিষ্পাপ সন্তানকে ফিরিয়ে দিলাম তার হারানো পিতৃস্নেহ।’
এ ব্যাপারে ওই বিচারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।