জুমবাংলা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে গোপনে নিজের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের ওই কিশোরীর সঙ্গে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের বিয়ে দেন তিনি। প্রথম কয়েক দিন বিষয়টি গোপন থাকলেও পরে জানাজানি হয়।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মেহেদি রাঙা হাতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছে ওই ছাত্রী।
বিয়ের বিষয়ে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমার মায়ের শরীর খুব খারাপ। তার ইচ্ছা নাতি ছেলের বউ দেখার। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই ছেলের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ে দিয়েছি। তবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি।’
এ বিষয়ে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
বিয়ের কাজী মফিজুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কোনও বিয়ে আমি পড়াইনি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বেগমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বেগমপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বদ্ধপরিকর। একজন স্কুলশিক্ষিকা কীভাবে এ ধরনের কাজ করতে পারেন আমার জানা নেই।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের যে গ্রামে চাইলেই চুক্তিতে বউসহ সব কিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।