আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীর বয়স ২৫ বছর এবং স্বামীর বয়স ৭০ বছর। দুজনের বয়সের মধ্যে ৪৫ বছরের পার্থক্য রয়েছে। তবে এই দম্পতি বলেছেন যে তাঁরা তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে বয়সের পার্থক্যকে কোনও গুরুত্ব দেন না। তাঁধের নিয়ে যে-সব কটূক্তি করা হচ্ছে, তারও পরোয়া করে না। কানাডা প্রবাসী স্বামী-স্ত্রী তাঁদের সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন এক অনুষ্ঠানে।
জানালেন নিজেদের কথা
তবে ‘লাভ ডোন্ট জাজ শোতে স্ত্রী স্টেফানি জানিয়েছেন যে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্ক নিয়ে খুশি নন। স্টেফানির স্বামীর নাম ডন। দম্পতির দুই বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
বছর পাঁচেক আগে দেখা
স্টেফানি জানান, প্রায় ৫ বছর আগে একটি পাবে ডনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল৷ স্টেফানি এই পাবটিতে কাজ করছিলেন৷ স্টেফানির মতে, ডন যখনই পারটিতে আসতেন, তিনি খুব খুশি হতেন। এখান থেকেই দুজনের মধ্যে রোমান্স শুরু হয়৷
কিন্তু, ৪৫ বছর বয়সের পার্থক্যের কথা জানার সঙ্গে সাঙ্গই এই সম্পর্কের কথা জেনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মানুষ ছিলেন যাঁরা স্টেফানির ঘনিষ্ঠ ছিল এবং যাঁদের বয়স ২০ বছরের আশপাশে৷ স্টেফানির মতে, যখন তাঁর বাবা, ভাই এবং মা সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন তাঁরা হতবাক হয়ে যান। তাঁরা চিন্তিত ছিল যে স্টেফানির এই সম্পর্ক খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হবে৷
স্বামী-স্ত্রী মানুষের কথায় পাত্তা দেন না
তবে স্বামী-স্ত্রী মানুষের কথায় পাত্তা দেন না। ডন বলেছিলেন যে মাঝে মাঝে লোকেরা মনে করে যে তিনি লাচলান (তাঁর ছেলে)-এর দাদু বা ঠাকুরদা। কিন্তু তারা এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করে না। মানুষকে সংশোধনের চেষ্টাও করে না।
স্টেফানি বলেছেন যে অনেকে মনে করেন যে তিনি ডনের সঙ্গে আছেন। কারণ তিনি তার জীবন বিমার অর্থ পাবেন। ঘটনা হল, যে যা-ই বলুক, তাঁরা সে-সব নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন। তাঁরা দিব্যি রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।