বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ওপেন ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, এই স্টারক্রিট পদার্থটি কংক্রিটের থেকেও অনেক বেশি মজবুত। প্রায় ৩২ মেগাপাস্কাল শক্তিশালী। মঙ্গলে থাকার জন্য জন্য সব চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
মার্স মিশনের আগে নানা চিন্তাভাবনাও রয়েছে বিজ্ঞানীদের। এই প্রেক্ষাপটেই ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা স্টারক্রিট নামে উপাদান তৈরি করেছে, যা আলু থেকে তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশের ধূলিকণা, নুন এবং আলুর স্টার্চ ব্যবহার করে এই পদার্থটি তৈরি করা হয়েছে।
ওপেন ইঞ্জিনিয়ারিং জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, এই স্টারক্রিট পদার্থটি কংক্রিটের থেকেও অনেক বেশি মজবুত। প্রায় ৩২ মেগাপাস্কাল শক্তিশালী। স্পেস ডটকমের মতে, স্টারক্রিটটিতে মুন রেগোলিথও ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে আলুতে অবস্থিত স্টার্চকে মজবুতকারী এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
Space.com রিপোর্ট বলছে যে এই স্টারক্রিট থেকে তৈরি ইট নির্মাণের জন্য যথাযোগ্য। যেহেতু আগামী মার্স মিশনে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই সবদিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ক্রমশই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে পৃথিবী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তাই নতুন বাসস্থানের জন্য মঙ্গলকেই বেছে নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গলে বসতি স্থাপন করতে পারবে মানুষ, এমনটা দাবিও করা হয়েছে। সেই মতোই চলছে কাজ।
এদিকে ইলন মাস্ক দাবি করছেন, তাঁর সংস্থা Space X এমন একটি রকেট নির্মাণ করার কাজে ব্রতী হয়েছে, যা মুহূর্তে-ই পৃথিবীর মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যেতে ভাড়া কত পড়বে? এ বিষয়ে ছোট্ট করে সতর্কবার্তা দিয়ে রাখছেন Space X -এর কর্ণধার।
তাঁর কথায়, “এই অভিযানের শুরুতে ১,০০০টি স্টারশিপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এগুলি ২০৩০ থেকে ২০৪০ পর্যন্ত প্রতি দুই বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যকবার লঞ্চ করা হবে। এই সমস্ত স্টারশিপে ১০০ জনের বেশি থাকতে পারবেন। আর পৃথিবী থেকে মঙ্গলের একমুখী ভাড়া পড়বে প্রায় ১ লাখ ডলার।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।