জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী। তা নিয়ে ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে তার উপর। আর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তো মাশরাফীর নড়াইলের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, এ নিয়ে কারো বিরুদ্ধে মামলা করবেন না তিনি।
২০১৮ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন মাশরাফী। রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের পর ২০২৪-এ আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশের সাবেই এই অধিনায়ক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুর্বৃত্তরা মাশরাফীর নড়াইলের বাড়িতে হামলা করে। ভাংচুর করার পর মাশরাফীর বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
নিজের বাড়ি পুড়িয়ে দিলেও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান না বলে এক পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন ম্যাশ। তিনি বলেন, ‘নড়াইলের বাড়িটা করেছিলাম মায়ের জন্য। এখন শেষ। অনেকেই বলেছেন মামলা করতে, ব্যবস্থা নিতে। ছবি-ভিডিও সবই আছে অনেকের কাছে। তবে আমি বলেছি, এসব করব না। আমার বাবাকেও বলে দিয়েছি। এখনকার সরকার বা ভবিষ্যতে নির্বাচন করেও যে সরকার আসুক, কারো কাছেই বিচাই চাইব না। কোনো অভিযোগ নেই।’
বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কেন মামলা করতে চান না সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন মাশরাফী। তিনি বলেন, ‘বাড়ি যারা পুড়িয়েছে, তাদের বাড়ি নড়াইলের বাইরে হওয়ার কথা নয়৷ নিজের জেলার মানুষদের বিরুদ্ধে আমি কোনো অভিযোগ করতে চাই না।’
এদিকে মাশরাফীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি ক্রিকেট বোর্ডে ফিরবেন কিনা। তার জবাবে মাশরাফী বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না। যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।