স্পোর্টস ডেস্ক: প্রায় তিন বছর হয়ে গেল, রাসেল ডমিঙ্গো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিঃসন্দেহে তিনি দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভীষণ অজনপ্রিয়। কখনো শোনা যায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, আবার কখনো শোনা যায় নামাকওয়াস্তে রাখা হয়েছে। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও তার কথার লড়াই চলছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রাসেল ডমিঙ্গোর সম্পর্কের রসায়নটা ঠিক জমেনি। সুযোগ পেলেই ডমিঙ্গোর সমালোচনা করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বিপরীতে ডমিঙ্গো সমালোচনা না করলেও মাশরাফিকে কয়েক দফা বাইরের লোক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান কোচের যুক্তিও একেবারে ফেলনা নয়। মাশরাফি তো এখন জাতীয় দলের বাইরের লোকই! ফলে দু’জনের কথার লড়াই প্রায়ই চোখে পড়ছে। বৃহস্পতিবার যেমন অনুশীলনে ফেরার দিন রাসেল ডমিঙ্গোর সমালোচনায় ফের মুখর হতে দেখা গেলো বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ককে।
এবার তো সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুললেন মাশরাফি, ‘তাকে (ডমিঙ্গো) নিয়ে খেলোয়াড়দের অভিযোগ আছে। প্রথম যে বিষয়, সেটা হচ্ছে ড্রেসিংরুমে খুশি থাকা। সেটা যদি থেকে থাকে তাহলে ভালো। আমার কাছে সেটা (ড্রেসিংরুম খুশি) মনে হয়নি। এজন্য খোলা মনে বললাম এটা। রাসেল ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাফল্যের পাল্লা বেশি ভারি নয়। স্টিভ রোডস বাদ যাওয়ার পরও তার সাফল্যের পাল্লা ভারি ছিল। বিসিবি যদি তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে খুব ভালো। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত।’
বৃহস্পতিবার চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মাশরাফি। এদিন মিরপুরের একাডেমি মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে অনুশীলন করেছেন। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তাকে ডমিঙ্গোকে মূল্যায়ন করতে বলা হয়। উত্তরে মাশরাফি বলেছেন, ‘ও কী কাজ করেছে, সেটা তো আমি জানি না। দল যখন সফল হবে, অবশ্যই সেটা তার কৃতিত্ব। এটা খুব স্বাভাবিক ইস্যু। আমি ওর সঙ্গে কাজ করিনি। তিনটা ম্যাচ শুধু, তাই কথা বলার সুযোগ কম। তবে যত ম্যাচ আমরা হেরেছি, সেই দায়টাও তাকে নিতে হবে। আমরা অনেক ম্যাচ এখানে (মিরপুরে) হেরেছি, যেগুলো হারার কথা ছিল না। নিউজিল্যান্ডে যেটা জিতেছি, সেটা আমাদের জেতার কথা ছিল না, এরকমও আছে।’
ডমিঙ্গোর মূল্যায়নে মাশরাফির মনে হয়েছে বর্তমান কোচের ব্যর্থতার পাল্লাটা ভারি। কারণ, ‘ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, ব্যর্থতার পাল্লাটা ওর বেশি ভারি। কারণ বাংলাদেশ দল ওই সময়ের মধ্যে নেই যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এখন বাংলাদেশের যারা দর্শক আছে, তারা সফলতা চায়। আপনারা ও ক্রিকেট বোর্ড সফলতা চায়। সেখানে নতুন কোচের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জায়গা এটা না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখন পারফরম্যান্স করার সময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে দল কিন্তু সব মিলিয়ে ৬-৭ বছর ভালো পারফর্ম করে আসছে। অন্য ফরম্যাটগুলোতেও একই অবস্থা।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) কোচ হিসেবে সাক্ষাৎকার দিতে এসে হয়ে যান জাতীয় দলের হেড কোচ। ডমিঙ্গোর অধীনে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৭২ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে জিতেছে ৩৪টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।