জুমবাংলা ডেস্ক : দেশজুড়ে একের পর এক ভয়াবহ ‘মব ভায়োলেন্স’ বা দলবদ্ধ সহিংসতায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই দেশে সংঘটিত হয়েছে অন্তত ১৪১টি দলবদ্ধ হামলার ঘটনা, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন। সবশেষ, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায়, অসংখ্য মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ইট-পাথর ও লোহার রড দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হত্যাকারীরা কেবল আঘাতই করেনি, রক্তাক্ত লাল চাঁদের শরীরের ওপর লাফিয়ে উঠেছে, হাসছে, উল্লাস করছে। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা (৩৮)কে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গণপিটুনির উত্থান
২০২৪ সালের আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতির সুযোগে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে পলাতক সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এবং রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীরা। শুরু হয় একের পর এক গণপিটুনি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড।
কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীসহ এক পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, যশোরে এক ব্যক্তিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, গাইবান্ধায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে এক বৃদ্ধ নিহত, কক্সবাজারে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কুপিয়ে হত্যাসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় জনরোষের নামে অমানবিক সহিংসতার নজির তৈরি হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সহিংসতা, আন্দোলন, পিটিয়ে (মব) হত্যা, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড, নারী ও শিশু নির্যাতন, কারাগারে মৃত্যুসহ নানান ঘটনায় কমপক্ষে ৪৬৮ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, যা মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি নির্দেশ করে।
২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা, মবসহ বিভিন্ন গঠনায় কমপক্ষে ২০৯ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে সহিংসতা, মব, ছিন্তাই, সীমান্ত হত্যা, জেলখানায় মৃত্যুসহ বিভিন্ন গঠনায় কমপক্ষে ২৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে ১ হাজার ৪২ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭৬ জন।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ মাসে দেশের আট বিভাগে ১৮৫ জন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি- ৮০ জন, চট্টগ্রামে ২৮ জন, রাজশাহী ও বরিশালে ১৬ জন করে নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল গত সেপ্টেম্বর, এক মাসেই মারা গেছেন ২৮ জন।
অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব সহিংসতার পেছনে রাজনীতির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যেখানে এই সহিংসতা দমনে দৃশ্যমান কোনো কঠোর পদক্ষেপ দেখাতে ব্যর্থ, সেখানে বিরোধী দলগুলোর ভেতর থেকেও বারবার এই সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগ উঠছে।
সরকার বলছে কঠোর হবে, কিন্তু বাস্তবতা বিপরীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সরকার আসলে প্রতিক্রিয়ার বাইরে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে চলা মব সন্ত্রাস, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট। এসব ঘটনায় সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী পক্ষের ওপর সহিংসতা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিএনপি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দল মব ভায়োলেন্সকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিচ্ছে না। গত দশ মাসে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর চার হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেছেন, ‘মব সন্ত্রাস কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধের বিচার আদালতে হবে, রাস্তায় নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিএনপি এই অপশক্তির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের নীরব ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের পটিয়া, কুমিল্লার মুরাদনগর, লালমনিরহাট থানা এলাকা এবং ফরিদপুরে ব্যবসায়ী এ কে আজাদের বাড়িতে মব হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। ‘গত সাড়ে পনেরো বছরে যারা অপরাধ করেছে, সরকার তাদের সঠিকভাবে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। সেই সময়ের নির্যাতিতদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অনেক ক্ষেত্রেই আজকের মবের ঘটনার রূপ নিচ্ছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকেও মব সহিংসতা নিয়ে প্রায় একই সুরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দলটির নেতারা বলেছেন, ‘একক কোনো গোষ্ঠী মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে না। অনেক মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে, স্থানীয়ভাবে বিদ্বেষও তৈরি হয়েছে, এই কারণেই মবের ঘটনা ঘটছে।’
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের অবস্থানে ফেরেনি। সরকারও দুর্বৃত্তপনা রোধে দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা রাখছে না। ফলে রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিশ্চয়তা দুর্বৃত্তদের উৎসাহ দিচ্ছে। সরকারকে এখনই কঠোর বার্তা দিতে হবে- নইলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাবে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে ৬০ হাজার ৪৮৭ খুন
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৬০ হাজার ৪৮৭টি। সে হিসেবে প্রতি বছর ৪ হাজার ৩২ জন এবং প্রতি মাসে ৩৩৬ জন খুনের শিকার হচ্ছেন। ২০২৪ সালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৩ হাজার ৪৩২টি। এর আগের বছর ২০২৩ সালে খুনের ঘটনা ছিল ৩ হাজার ২৩টি। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১২৬টি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ডিএমপিতে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৯টি। এর আগের বছর ২০২৩ সালে খুনের ঘটনা ছিল ১৬৫টি এবং ২০২২ সালে ছিল ১৭২টি।
গণপিটুনি ও মব ভায়োলেন্সের পেছনে পুলিশের মনোবল ও পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন পুলিশের একজন সাবেক ডিআইজি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকেই পুলিশের মধ্যে এক ধরনের মানসিক ভঙ্গুরতা কাজ করছে, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। তারা অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কী করলে কী হবে। ফলে সাধারণ ঘটনাগুলোতেই মব সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। পুলিশের এই দ্বিধা এবং সিদ্ধান্তহীনতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী।’
সাবেক এই ডিআইজির দাবি, পুলিশ যদি পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতো, তাহলে মব ভায়োলেন্স এভাবে বাড়তো না। তিনি বলেন, ‘যেখানে পুলিশ ও আদালতের ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করে, সেখানে এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। আইনের শাসন কাঙ্ক্ষিত মানে ফিরে আসেনি।’
তিনি আরও জানান, ৫ আগস্টের আগে পুলিশের যেভাবে ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে এখনো অনেকে ট্রমার মধ্যে আছেন। সেই ট্রমা থেকে এখনো উত্তরণ হয়নি। ফলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহ ও সংকোচ কাজ করছে।
মব ভায়োলেন্সের আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ এ সুযোগ নিয়ে হয়রানি করছে। এটাই এক ধরনের ‘মব’। কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাও এই সুযোগ নিচ্ছেন না, তা বলা যায় না। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা দরকার।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৮-১০ জন মানুষ একত্রিত হয়ে হঠাৎ করে কোনো ইস্যু নিয়ে মব তৈরি করছে এবং তারা প্রায়শই পার পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রবণতা শক্ত হাতে দমন না করলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে।’
মব ভায়োলেন্স বা গণপিটুনির ঘটনা দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এই প্রবণতাকে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার স্পষ্ট প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘গণপিটুনি একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার ফল। সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ভয়াবহভাবে ব্যর্থ হওয়ায় এসব ঘটনা এখন লাগামহীন হয়ে উঠেছে। প্রায় ২০০টি মব ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটেছে, অথচ অপরাধীদের কাউকে আমরা দৃশ্যমানভাবে আইনের আওতায় আনতে পারিনি।’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে সামনে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়বে। রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এই ধরনের অপরাধে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং জনগণকে সচেতন করা।’
ড. ফারুক বলেন, ‘এই সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা হলো, কেউ চায় নির্বাচন, কেউ চায় সংস্কার, এখন ঐক্য শব্দটাই বিভক্ত। অথচ একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ছাড়া কোনো নির্বাচনী বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া টেকসই হতে পারে না।’
মব ভায়োলেন্সের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে তিনি অপরাধকে উসকে দেয়ার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো অপরাধকে উৎসাহ দিচ্ছে, কিন্তু কেউ কিছুই করতে পারছে না। দুঃখজনকভাবে এই বিষগুলো কি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো গবেষণাও নাই।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি। কিন্তু কীভাবে পুলিশকে জনগণের সঙ্গে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা যাবে, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না। কেবল রাজনৈতিক ঐক্যের বুলি দিয়ে এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়।’
সমাধানের পথ নির্দেশ করে তিনি বলেন, ‘গবেষণাভিত্তিক তথ্য, জনগণের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে একটি বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তবেই এই জাতীয় সহিংসতা রোধে কার্যকর অগ্রগতি সম্ভব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশে মব সন্ত্রাস থামছে না, বরং পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, ‘মব সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে না। আবার মব নিয়ন্ত্রণে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সেই ব্যবস্থাগুলোও গ্রহণ করা হচ্ছে না। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নানা আদেশ-নির্দেশ জারি করলেও মব সন্ত্রাসীরা তা গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ে গঠিত মব গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দলের পক্ষ থেকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়, তবে মব সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।’ সূত্র : চ্যানেল 24
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।