আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চন্দ্রবিন্দুর গায়করা যে কী অমোঘ সত্যি কথা গানের ছলে বলে দিয়েছিলেন, তা পড়ুয়া মাত্রেই জানেন। ছোটবেলায় অঙ্ক বই-খাতা দেখলে বহু পড়ুয়াই পিঠটান দেওয়ার চেষ্টা করত, কিংবা এখনও হয়তো করে। কেসি নাগের বই যেন ছিল আতঙ্কের অপর নাম। তাই সেই বিভীষিকা-সম পরীক্ষায় গোল্লা তো বটেই, নিদেনপক্ষে টেনেটুনে পাশ করার মতো নম্বর পাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে।
আর সেই ফল দেখার পরেও অবশ্যম্ভাবী হল বাবা-মায়ের বকুনি, ক্ষেত্রবিশেষে পিটুনিও। তাই রিপোর্ট কার্ড দেখানোর আগে অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকতেন। তবে সব ক্ষেত্রে তেমন হয় না। মেয়ে অঙ্ক পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছে দেখার পরেও এক মা যা করলেন, তার গল্প ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জয়নাব নামে এক তরুণী এক্স হ্যান্ডলে (টুইটার) শেয়ার করেছেন ঘটনাটি। দুইটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন ‘ক্লাস সিক্সের নোটবুক খুঁজে পেয়েছি। এত খারাপ ফল সত্ত্বেও মা যেভাবে আমাকে উৎসাহ দিয়ে নোট লিখে সই করেছেন, সেটা দেখে দারুণ লাগছে।’
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালের একটি পরীক্ষায় জয়নাব পরীক্ষায় ১৫তে শূন্য পেয়েছেন। সেখানে তাঁর মা লিখেছেন, ‘সোনা, যদি ফল মেনে নিতে অনেক সাহস লাগে।’ (Math test girl scores zero)
found my grade 6 math notebook and love how precious mother was signing every bad test with an encouraging note for me! pic.twitter.com/AEJc3tUQon
— zainab (Taylor’s version) (@zaibannn) August 25, 2023
আরও একটি টুইট করেছেন জয়নাব। তাতে তিনি লিকেছেন, ‘আমি তারপর মন দিয়ে অঙ্ক করতে শুরু করে। একটা সময় আমি বিষয়টা উপভোগও করতে শুরু করেছিলাম। আমি তখন খুব ভাল নম্বরও পেতাম। বাচ্চাকে ব্যর্থতার জন্য অপমান না করলে এভাবেই তার ফল পাওয়া যায়।’
জয়নাবের সেই পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। প্রায় ১ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন পোস্টটি। সন্তানের ব্যর্থতাতেও মা যেভাবে আগলে রেখেছিলেন, উৎসাহ দিয়েছিলেন, তা দেখে নেটিজেনরা রীতিমতো আপ্লুত। বিভিন্ন ইতিবাচক মন্তব্যে পোস্টের কমেন্ট সেকশন ভরে উঠেছে।
একজন লিখেছেন, ‘কী মিষ্টি এটা!’
এটা দেখে আমার একই সঙ্গে খারাপ এবং ভাল লাগল, লিখেছেন দ্বিতীয়জন।
‘আপনার মা একজন রত্ন,’ মন্তব্য অন্য একজনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।