লাইফস্টাইল ডেস্ক : মস্তিষ্ক আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি আমাদের শরীরের জরুরি সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মস্তিষ্ককে সাবধানে রাখা আমাদের সকলেরই জরুরি কর্তব্য। যদিও বহু ক্ষেত্রেই মস্তিষ্কে আঘাত লাগে। সেই চোট থেকে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। তাই সাবধান হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।
এই অবস্থায় জেনে নেওয়া যাক মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঠিক কেমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
> মাথায় আঘাত লাগলে সবথেকে বেশি দেখা যায় হেমারেজের সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথায় রক্তপাত হয়। রক্তপাতের ঘটনাকেই বলে হেমারেজ। ব্রেনের আশপাশে হেমারেজ হওয়ার ঘটনাকে বলে সাবঅ্যারকনয়েড হেমারেজ। আর ব্রেনের ভিতরে রক্তপাতের ঘটনাকে বলে ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
> কারও মাথায় আঘাত লাগলেই বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই ধাক্কার চিহ্ন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে যান। এক্ষেত্রে মাথায় খুব জোরে আঘাত লাগার কারণে মানুষ এই সমস্যায় পড়েন। হাত, পা নাড়ানো সম্ভব না হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কথা বলতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
> মাথার হাড়ে কোন গুরুতর আঘাত দেখা দিলে হতে পারে মাথা ফ্র্যাকচার। হাড়ে ধরতে পারে ফাটল। যদিও মাথার হাড়ে ফাটল ধরা খুব কঠিন একটি কাজ। এক্ষেত্রে বিশাল কোনও আঘাত লাগার পরই দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই আপনাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মাথায় ফ্র্যাকচার হলে আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। এটা হল একটি জরুরিকালীন অবস্থা। তাই আপনার সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি।
> মাথায় কোনও আঘাত লাগলে মস্তিষ্কে হতে পারে হেমাটোমা। এক্ষেত্রে আঘাতের কারণে মাথায় চাপ বাড়ে। তার থেকেই মাথায় দেখা দেয় হেমাটোমা। এক্ষেত্রে মাথায় রক্ত জমে যায়। এই রক্ত জমার কারণে দেখা দেয় নানা উপসর্গ। তাই আপনাকে অবশ্যই হেমাটোমার সমস্যা থেকে দূর থাকতে হবে।
৯০০ কোটি আয় হলেও ‘দঙ্গল’ ও ‘বাহুবলী’র সঙ্গে পারবে না ‘আরআরআর’
> ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি খুব কঠিন সমস্যা। এক্ষেত্রে আঘাত পৌঁছে যায় মস্তিষ্কের কোষে। তখন মস্তিষ্কের কোষে ঘটে নানান সমস্যা। ফলে মানুষ দ্রুত নিজের ক্ষমতা হারাতে থাকেন। ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি হলে অনেকসময় মস্তিষ্কে দেখা দেয় বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথার কোষ ফুলে ওঠে। তারপর দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। তাই এই ধরনের আঘাতের দ্রুত চিকিৎসা দরকার।
মাথায় চোট লাগা হল সবসময়ই আপৎকালীন অবস্থা। এই অবস্থায় সবসময় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রাথমিকভাবে রোগের লক্ষণ দেখার পর চিকিৎসক প্রয়োজন মতো এক্সরে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান করাতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।