লাইফস্টাইল ডেস্ক : একটি বাড়িতে সবচেয়ে বেশি নোংরা হয় বাথরুম। আর এই বাথরুম পরিষ্কার করাটা খুবই কষ্টের একটা কাজ। বাইরে সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ফিরে কারই বা ইচ্ছে করে এই জায়গাটি পরিষ্কার করতে? কিন্তু দৈনন্দিন আরো দশটা কাজের মতন ঘরের এই জায়গাটিও পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবে বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা মানেই শুধুমাত্র কমোডের চাকচিক্য ও সুগন্ধ নয়। বাথরুম থাকা চাই একই সাথে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত।
সাধারণত একটি বাথরুমের ঝাপসা কাঁচ, এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়া সাবানের দাগ ও পানি দ্বারা তৈরি জং, ট্যাপের পানি পড়ে তৈরি হওয়া বাদামী দাগ এবং টয়লেটে তৈরি হওয়া আজগুবী সব দাগ পরিষ্কার করার দরকার পড়ে। আর এই সমস্ত ঝামেলা খুব দ্রুত দূর করার জন্যে দেয়া হলো কার্যকরী কিছু কৌশল।
ঝাপসা কাঁচ
ঝাপসা কাঁচকে নিমিষে খুব বেশি ডলাডলি ছাড়াই চকচকে করে তুলতে প্রথমে একটি গ্লাসে অর্ধেকের একটি বেশি ঠান্ডা পানি নিয়ে তিনটি ব্ল্যাক টি ব্যাগ তাতে চুবিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ আপনার বাথরুমের ঝাপসা কাঁচে ছিটিয়ে নিয়ে সেটাকে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন কেমন দারুন চকচকে হয়ে গিয়েছে আপনার বাথরুমের কাঁচ!
বাদামী ছোপ, জং কিংবা দাগ
বেসিনে বাদামী দাগ পড়লে একটি পাত্র নিয়ে তাতে অর্ধেক ভিনেগার এবং অর্ধেক থালা বাসন মাজার তরল সাবান মিশিয়ে নিন। এবার সেটা একটি শক্ত মুছনীতে লাগিয়ে নিয়ে দাগ পড়া স্থানে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে গিয়েছে। এছাড়া যেকোন রকমের জং কিংবা খসখসেভাব দূর করতে খানিকটা লেবুর রস সেখানে ঘষুণ। এরপর সেটাকে পরিষ্কার করে ফেলুন। এছাড়াও যদি পানির কলের ভেতরে শক্ত রকমের জং ও দাগ দেখতে পান আপনি তাহলে একটি তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে জংধরা স্থানগুলো মুড়িয়ে নিন। এরপর সেটার ওপরে ভিনেগার ঢালুন। কাপড় বা তোয়ালেটিতে ৩০ মিনিট সেভাবেই রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর উঠিয়ে দাগ ও জংপড়া স্থানটিকে ভালোভাবে ঘষুন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টয়লেট
সবসময় ব্যবহৃত এই স্থানটিকে পরিষ্কার করার জন্যে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না আপনাকে। এজন্যে শুধু ভিনেগার এবং কয়েক টুকরো কাগজই সাহায্য করতে পারে আপনাকে। প্রথমে ফ্ল্যাশের ভেতরে খানিকটা ভিনেগার ঢেলে দিন। এবার উপরে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাগজে ভিনেগার ঢেলে সেটা কমোডের কোনায় রাখুন। বাকীটা অংশ ভিনেগার দিয়ে মোছা হয়ে গেলে সাত মিনিট পর কাগজগুলো ব্রাশ দিয়ে বের করে আনুন আর ভিনেগার দিয়ে একটি টুথব্রাশ ভিজিয়ে সেটা দিয়ে বাকীটা পরিষ্কার করুন। এবার ফ্ল্যাশ করুন।
লুকিয়ে থাকা আবর্জনা
সামনে থাকা আবর্জনাতো আপনি ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারেন। তবে সেই আবর্জনাগুলো যেগুলো লুকিয়ে থাকে বেসিনসহ এমনকিছু স্থানে যা ইচ্ছা করলেও বের করে নিয়ে আসা সম্ভব না সেগুলো দূর করতে আপনার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটিকে নিয়ে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে তাতে টেপ আটকে নিন আর সেই ময়লা-আবর্জনাগুলোকে বের করে নিয়ে আসুন। ব্যস সহজেই আপনার বাথরুস পরিষ্কার হয়ে গেলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।