আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনের ১৬ শতকের মাটির ইটের শহর শিবাম যাকে ‘মরুভূমির ম্যানহাটন’ বলা হয়। এটি বিশ্বের প্রথম উঁচু ভবনের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। এই শহরটি একটি সুরক্ষিত প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এবং এর সমস্ত ভবন মাটির ইট দিয়ে নির্মিত। স্থাপত্যশৈলীর এই নিদর্শনটি ইয়েমেনের অনন্য সংস্কৃতির পরিচায়ক।
শিবাম শহরটি ১৫৩২-৩ সালের ভয়াবহ বন্যার পর প্রাচীন বসতি ধ্বংস হয়ে গেলে পুনর্নির্মিত হয়। শহরের রাস্তাগুলো গ্রিড পদ্ধতিতে সাজানো এবং ভবনগুলো সাততলা পর্যন্ত উঁচু। এর সবচেয়ে উঁচু ভবনটি আটতলা এবং ৩০ মিটার উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে।
ইউনেস্কোর মতে, এই শহরটি প্রাচীন আরবের মশলা ও সুগন্ধি পথের গুরুত্বপূর্ণ কারাভান স্টপ ছিল। ৯ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত শুক্রবার মসজিদ এবং ১৩ শতকের দুর্গ শিবামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
ব্রিটিশ অভিযাত্রী ফ্রেয়া স্টার্ক ১৯৩০-এর দশকে শিবামকে ‘মরুভূমির ম্যানহাটন’ নামে আখ্যা দেন। কারণ শহরের উঁচু টাওয়ারগুলো দেখতে আধুনিক আকাশচুম্বী ভবনের মতো।
ইয়েমেনের জটিল গৃহযুদ্ধ থেকে শিবাম সরাসরি প্রভাবিত না হলেও দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে শহরটি সংকটে পড়েছে। ইউনেস্কো ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্যোগ সত্ত্বেও এটি প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ পায়নি।
শিবাম শুধু একটি স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন নয়, এটি ইয়েমেনের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শহর পরিকল্পনার এক অনন্য সাক্ষ্য বহন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।