জুমবাংলা ডেস্ক : আমিষ জাতীয় খাদ্য মাছ আমাদের সব থেকে বেশি প্রিয়। মাছ খেতে আমরা ভীষণ পছন্দ করি। মাছ আমাদের আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেহের ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভিটামিনের ঘাটতি মেটায়। আমরা সবাই মাছ খেয়ে আনন্দ পাই তার থেকে বেশি মাছ শিকার করে আনন্দ পায়। গ্রামে বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
তবে প্রতিনিয়তই গ্রামে মাছ ধরার রীতি রয়েছে। কারণ প্রত্যেকদিন মানুষের আমিষের খেতে হয়। তাই গ্রামের মানুষ নিজেদের পুকুর অথবা নদী থেকে অথবা ডোবা থেকে মাছ শিকার করে মাছ আহরণ করে। তাদের মাছ ধরার কৌশল গুলো অসাধারণ কারণ তারা এমন ধরনের কৌশল ব্যবহার করে যেখানে তারা সাথে ৪ থেকে ৫ কেজি মাছ ধরতে সক্ষম হয়। আর এই মাছগুলো ধরে তারা বাজারে বিক্রি করে আবার নিজেদের জন্য কিছু রেখে দেয়।
সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ চাচা তার অসাধারণ মাছ ধরার কৌশল ব্যবহার করে একসাথে পাঁচ থেকে ছয় কেজি মাছ ধরেছে। চাচার এই মাছ ধরার কৌশল যখন এই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তখন এই ভিডিওটি ব্যাপক পরিমাণে মানুষের মনে সাড়া ফেলে দেয়। কারণ চাচা খুব সামান্য কিছু উপকরণ ব্যবহার করি একসাথে এত বেশি মাছ ধরতে সক্ষম হয়েছে।
চলুন জেনে নিই ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে এমন কি আছে যে এত তুমুল পরিমাণে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় চাচা মাছ ধরার জন্য চারটি মাটির কলস নিয়েছেন। এরপর কলেজ গুলোর নিচের অংশে ছোট ছোট ছিদ্র করেছে। এখন মাছকে এই হাড়িতে নেওয়ার জন্য খাবার তৈরি করতে হবে। খাবার তৈরি করার অসাধারণ পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে মাছ শিকার হতে বাধ্য।
মাছ শিকার করার জন্য যা যা লাগবে তা হচ্ছে- কুরা ভুসি, ভাত, আদা কুচি, সামুকে থেঁতো করে দিয়েছে এবং কিছু কেচো নিয়েছে। ভাত, কুরা ভুসি, আদা কুচি একসাথে মিশিয়ে বড় বড় করে গোলাকৃতি করে নিয়েছেন। এরপর থেঁতো করা শামুক-ঝিনুক সেগুলো মাটির হাড়িতে অল্প অল্প করে চারটি ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। এরপর ওই মেশানো ভারতের অংশটুকু দিয়েছে। এরপর জমি থেকে তুলে আনা কেচো গুলো অল্প অল্প করে মাটির কলসিতে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
এখন বাঁশের কঞ্চির সাহায্যে কলসগুলোকে সেই বাসের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর পুকুরে আরো দুটো দুপাশে বাশ বসিয়েছে যে রকম কুয়ার মাধ্য থেকে পানি তোলা হয় সেরকম পদ্ধতিতে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এরপর হাড়ি অংশটুকু ওই বাশের অংশের সাথে দড়ি বেঁধে দিয়ে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর এসে দেখতে পায় এগুলো মাছ পরেছে। যেভাবে পানি উত্তোলন করা হয় ঠিক সেভাবে কলসগুলো তুলে নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেই সাথে চার থেকে পাঁচ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ ধরেছে।
এরপর পুনরায় আবার এই একইভাবে হাঁড়িগুলো মাটি দিয়ে পানির নিচে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই থেকে একদিন পর যখন বৃদ্ধ চাচা আবার সেই মাছ উত্তোলন করতে এসেছে। তখন দেখি একসাথে প্রায় প্রতি ক্লাসে ৪ থেকে ৫ কেজি করে প্রায় ২০ কেজির মতো মাছ ধরতে সক্ষম হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।