বিনোদন ডেস্ক : ব্রাজিলের জনপ্রিয় অভিনেতা জেফেরসন মাচাডোর মরদেহ মাটির প্রায় সাড়ে ৬ ফুট নিচে একটি কাঠের বাক্স থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই এ মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারি দেখা গিয়েছিল এই অভিনেতাকে। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই অভিনেতা।
জেফেরসনের মা মারিয়া দাস ডোরেস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। নিখোঁজ হওয়ার আগে ছেলে মাকে জানিয়ে যান, চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য এক বন্ধুর বাড়িতে থাকবেন। কিন্তু তার মনে সন্দেহ দানা বাঁধে এলোমেলো আর ভুলে ভরা একটি মেসেজ পেয়ে। ওই মেসেজ পড়েই তিনি বুঝে যান, এমন লেখা আর মেসেজের ভাষা তার ছেলের নয়।
মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমার ফোন কমোডে পড়ে গিয়েছিল। তাই কোনো ভিডিও কল করতে পারছি না। এই মেসেজের পরই ফোনের লোকেশন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ক্লাউডের পাসওয়ার্ডও বদলে যায়।’
ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই রিও নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সোমবার ( ২২ মে) সেখানে মাটির সাড়ে ৬ ফুট নিচ থেকে কাঠের বাক্সে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অভিনেতার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যার কারণ ও হত্যাকারীকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
এদিকে, যে বাড়িতে অভিনেতার মরদেহ পাওয়া গেছে সেই বাড়ির মালিক দাবি করেছেন, তিনি এক মাস আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন। যে কিনা মাচাডোকে চেনেন বলে দাবি করেছেন। সিসিটিভিতে দেখা গেছে, গত মাসে সেই বাড়িতে ঢুকছেন অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই ব্যক্তি। এখন অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ব্রাজিলিয়ান পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।