জুমবাংলা ডেস্ক : ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের এক ভাইয়ের নাম কাইয়ুম। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমানের সেই ভাই একসময় গার্মেন্টকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। মতিউরের অবৈধ আয়লব্ধ সম্পদের বেশিরভাগই রয়েছে কাইয়ুমের নামে। ফলে গার্মেন্টকর্মী থেকে সরাসরি শিল্পপতি বনে গেছেন তিনি।
টঙ্গীর রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান এসকে ট্রিম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইয়ুম। কামরাঙ্গীরচরে এসকে থ্রেড নামের সুতা উৎপাদন কারখানার মালিকও তিনি।
ভালুকা ও বরিশালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল সুজ লিমিটেডের অংশীদারত্ব আছে তার। এছাড়াও ঢাকায় বেশ কয়েকটি এপার্টমেন্টসহ কাইয়ুমের নামে স্থাবর-অস্থাবর আরও বিপুল সম্পদ রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মীর নামের আদ্যাক্ষর ‘এস’ এবং কাইয়ুমের নামের আদ্যাক্ষর ‘কে’ মিলিয়ে এসকে ট্রিম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং এসকে থ্রেড কারখানার নামকরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, মতিউরের ভাইয়ের স্ত্রী কুলসুমের নামে বন্ড লাইসেন্স আছে। এ লাইসেন্সে ব্যবসা পরিচালনাকারী একজনের কোম্পানিতে ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কল্যাণপুরের বিআরটিসি বাসডিপো সংলগ্ন এলাকায় একটি সিএনজি স্টেশনের ২০ শতাংশ শেয়ারও কেনা আছে কাইয়ুমের নামে।
মতিউরের কল্যাণে আরেক ভাই নূরুল হুদা বেকার হওয়া সত্ত্বেও কোটিপতি বনে গেছেন। ফার্মগেটের অর্কিট প্লাজায় অবস্থিত সাইমুম অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড এবং অপর একটি গার্মেন্টে তার নামে শেয়ার রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।