লাইফস্টাইল ডেস্ক : সমাজে প্রচলিত সাধারণ বিশ্বাস হলো- নারীদের চুল কাটা নিষেধ। তবে প্রয়োজনের সময় চুল কাটা যায়। কিন্তু মেয়েরা কতদিন পর পর চুল কাটতে পারবে এবং তার পরিমাণ কতটুকু এ সম্পর্কে মূলনীতি বলে দেওয়া হয়েছে ইসলামে। নারীদের চুলের ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তের মৌলিক নীতিমালা হলো-১. নারীরা চুল লম্বা রাখবে। হাদিস শরিফ থেকে জানা যায় যে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ চুল লম্বা রাখতেন।
২. নারীরা চুল এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদিস শরিফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারি নারীর প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদিসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের মতো সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ওই পরিমাণ কাটা জায়েজ। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরি চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নিই।
তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি প্রয়োজনে চুল একেবারে কামিয়ে ফেলার অনুমতিও রয়েছে।
অতএব নারীদের চুল চার আঙ্গুল পরিমাণ কাটা যাবে, অথবা একেবারেই কাটা যাবে না- এ কথা প্রযোজ্য নয়। বরং চুল বেশি বড় থাকলে যেমন চার আঙ্গুলের বেশি করে কাটা জায়েজ। তদ্রুপ না একেবারে বেশি কেটে ফেলা নাজায়েজ।
নারীদের চুল কাটার ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা দরকার। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে নারীরা তাদের চুল খাটো করতে পারবেন। এর জন্য সময়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর কেউ নাজায়েজ পরিমাণ কিংবা বিজাতীয়দের অনুকরণে চুল কেটে করে ফেললে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।