আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেক্সিকোর ক্যানোপাইতে কয়েকশ বছরে আগে হারিয়ে মায়ান সভ্যতা একটি শহরের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ১৬ দশমিক ৬ স্কয়ার কিলোমিটার বিস্তৃত এ শহরটিতে দুটি প্রধান কেন্দ্র রয়েছে এবং দুই কিলোমিটার দূরত্বে বড় বড় ভবন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অনেক ছোট ছোট বাড়ি ও রাস্তা। এছাড়া রয়েছে দুটি পিরামিড মন্দির। যেখানে শহরের বাসিন্দারা ধর্মীয় কাজকর্ম করতেন।
জঙ্গলের গাছপালার ভেতর হারিয়ে যাওয়া শহরটির খোঁজ মিলেছে লিদার নামের এক ধরনের লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বলছেন, প্রাচীন লাতিন আমেরিকায় পাওয়া মায়া শহরগুলোর মধ্যে ঘনত্বের দিক দিয়ে এটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা সবমিলিয়ে তিনটি স্থানের সন্ধান পেয়েছেন। যে লেজারের মাধ্যমে শহরটি পাওয়া গেছে সেটি প্রত্নতত্ত্ববিদরা ব্যবহার করেননি। পরিবেশের ওপর নজর রাখতে এটি দিয়ে ওই স্থানটি স্ক্যান মূলত করেছিল একটি পরিবেশবাদী সংস্থা।
তবে লুক অড-থমাস নামের এক প্রত্নতত্ত্ববিদ গুগলে ওই লেজার সার্ভেটি পান। এরপর তিনি এটি প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার আলোকে গবেষণা করে শহরটির সন্ধান পান।
ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০ থেকে ৮৫০ সালের মধ্যে এই শহরটিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। কীভাবে শহরটি এমন আড়ালে চলে গেলো সেটি স্পষ্ট নয়। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরটির বাসিন্দারা চলে গিয়েছিলেন হয়ত। নতুন করে শহরটি আবিস্কার করা প্রত্নতত্ত্ববিদরা এটির নাম দিয়েছেন ভ্যালারিয়ানা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।