বিনোদন ডেস্ক : “আমার এবং শিলাদিত্য সান্যালের যখন বিচ্ছেদ হয় মাইয়্যা তখন মাত্র ৮! কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা-বাবাকে আলাদা বাড়িতে দেখতে শুরু করেছে। আমায় কোনও দিন মেয়ে মাইয়্যা সান্যালকে নিয়ে কখনও লিখতে দেখেছেন? ছবিও দিতে দেখেননি।
কারণ, মাইয়্যা পছন্দ করে না। বিশ্বাস করুন, মঙ্গলবার ওকে দেখার পরে লোভ সামলাতে পারিনি। বন্ধুর জন্মদিনে আমার পোশাক, জুতো, গয়নায় সেজে মেয়ে উদযাপনে সামিল! সেই ছবি আমায় দিয়েছিল। সাজলে এত সুন্দর দেখায় মাইয়্যাকে? আরও এক বার যেন অনুভব করলাম।
সেই জায়গা থেকেই ওকে না জানিয়ে ছবিটি ভা্গ করেছি। কিছু কথাও লিখেছি। গর্ব করেছি মেয়েকে নিয়ে। আফশোস করেছি, ‘‘ক্ষমা করে দিস মা! তোকে আমি সুস্থ ছেলেবেলা দিতে পারিনি।’’
কেন এত দিন পরে এই উপলব্ধি? তা হলে বলি, এটা কিন্তু এক দিনের নয়। আমার এবং শিলাদিত্য সান্যালের যখন বিচ্ছেদ হয় মাইয়্যা তখন মাত্র ৮! কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা-বাবাকে আলাদা বাড়িতে দেখতে শুরু করেছে।
মাইয়্যাকে আমাদের বিভেদ থেকে দূরে রাখব বলেই ঝগড়া করতাম দরজা বন্ধ করে। আলাদা হওয়ার এক দম শুরুতে এটুকুই বলতে পেরেছিলাম, ‘‘মা, তোমার যখন যার কাছে থাকতে ইচ্ছে করবে, থেকো।
মা-বাবার দরজা তোমার জন্য সব সময় খোলা।’’ সত্যিই তো আমরা ওকে সুস্থ ছেলেবেলা দিতে পারিনি! সেদিনও ওর কোনও অনুযোগ ছিল না। চুপচাপ মেনে নিয়েছে সব। বদলে, সপ্তাহের মাঝে হয়তো ব্যাগ গুছিয়ে বাবার কাছে থাকতে গিয়েছে। নিজেই নিজের ভারী ব্যাগ টেনে নিয়ে যেত। তাতে বাড়তি পিটি ক্লাসের পোশাক, জুতো ভরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।