সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ কেবল একজন দাপুটে রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং কোটি মানুষের আবেগের নাম। তবে রাজনৈতিক জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ের আড়ালে তার ছিল এক সাধারণ ও শান্ত শৈশব। ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্ম নেওয়া এই নেত্রীর ডাক নাম ছিল ‘পুতুল’। মা তৈয়বা মজুমদারের বয়ানে উঠে এসেছে ছোটবেলার সেই চঞ্চলতাহীন, পরিপাটি আর সংস্কৃতিমনা খালেদা জিয়ার না জানা অনেক গল্প।

তৈয়বা মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় খালেদা জিয়া ছিলেন ভীষণ শৌখিন। খাবারের পাতে মাছের প্রতি ছিল ঘোর অনীহা, কিন্তু মাংস ছিল তার অতি প্রিয়। সবজির মধ্যে আলু আর ঢ্যাঁড়শ পছন্দ করতেন। খুব গোছানো স্বভাবের হওয়ার কারণে নিজের ঘর নিজেই পরিপাটি করে রাখতেন। শুধু তাই নয়, ছোট দুই ভাইয়ের দেখাশোনা ও নাওয়া-খাওয়ার দায়িত্বও পালন করতেন অতি যত্নে।
শৈশবে খালেদা জিয়া কোনো কিছুর জন্য জেদ বা বায়না করতেন না এবং অপচয় একদমই পছন্দ করতেন না। মা তৈয়বা মজুমদারের ভাষায়, পুতুল পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল। গান শোনার প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল এবং ওস্তাদের কাছে নাচও শিখেছিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেচে তিনি পুরস্কারও পেয়েছিলেন। স্কুল জীবন কাটিয়েছেন দিনাজপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। কম কথা বলা শান্ত স্বভাবের এই মেয়েটির সবচেয়ে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল তার মায়ের সঙ্গেই।
মেয়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে মা তৈয়বা মজুমদার সবসময়ই এক ধরনের আশঙ্কায় ভুগতেন। তিনি বলেছিলেন, জনগণের সেবা করতে গিয়েই জামাইকে (জিয়াউর রহমান) হারিয়েছি। আজ মেয়েও রাজনীতিতে নেমেছে। আমরা সবসময় তার নিরাপত্তা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকি।
উল্লেখ্য, আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
সূত্র: মহিউদ্দিন আহমদের ‘খালেদা’ গ্রন্থ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


